ফিলোসফি বা দর্শন বিষয়ে কোনো বই না লিখে গেলেও পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। যাদের দ্বারা পৃথিবী বদলে গেছে সেই মহামানবদের তালিকায় সক্রেটিস এক অনন্য নাম।
জ্ঞানের ভাণ্ডার এই মানুষটি জীবদ্দশায় বলতেন ‘নিজের ব্যাপারে আমি বলবো, আমি এটাই জানি যে আমি কিছুই জানি না’।
দর্শন শাস্ত্রের মৌলিক শিক্ষায় সক্রেটিস প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয় । দর্শনের বাইরেও রয়েছে সক্রিটিসের প্রভাব। পৃথিবীর ক্রমবিকাশের ধারায় তিনি মিশে গেছেন প্রতিটি পরম্পরায়, প্রতিটি যুগে।
সক্রেটিসের দর্শনের মূল দিক হচ্ছে যেকোনো পরিস্থিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখা। চলুন দেখে নিই সক্রেটিসের ৫ দর্শন এর বিষয়ে।
১. ‘‘সত্যিকারের জ্ঞানী হওয়ার প্রক্রিয়াটি তখনই শুরু হবে যখন আপনি জানবেন যে আপনি কিছুই জানেন না।’’
২.‘‘আত্মার উন্নয়ন না করে শারীরিক সুস্থতা অর্থহীন। জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আত্মার উন্নয়ন সাধনই মানুষের প্রথম ও প্রধান কাজ।’’
৩.“তোমরা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করলে যে দেবতারা আমাকে পাঠিয়েছেন তাদেরই দোষী প্রমাণ করা হবে। আমি সদা সর্বদা মানুষকে জ্ঞানের উপদেশ দিয়েছি। আমার মতো কে আছে ? অতএব আমাকে মুক্তি দাও। এটা আমার আবেদন নয়, উপদেশ!”
৪. “জ্ঞানই পুণ্য”
৫. “অপরীক্ষিত জীবনের কোনো অর্থ নেই।”
এক লোক সক্রিটিসকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি সক্রেটিস?” সক্রেটিস তখন বললেন, “প্রমাণ করুন যে আমি সক্রেটিস নই!”
প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারদর্শী ছিলেন মহান এই দার্শনিক। অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিও তার কথার সামনে বোকা বনে যেতেন।