সাধারণত ফোনে কথা বলতে গেলে কিংবা কারো সঙ্গে দেখা হলে আমরা ‘হ্যালো’ বলি। আপনার মনে কি প্রশ্ন উঁকি মারে না কেন অন্য কিছু না বলে ‘হ্যালো’ বলা হয়? এই ভিডিওতে আজ আমরা এই হ্যালো বলার কারণ জানবো।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ‘হ্যালো’শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছিল প্রায় ১৫০ বছর আগে ১৮৭৭ সালে। তবে তার আগে আমরা ‘হ্যালো’ যে যন্ত্রের কারণে আবিস্কৃত হয়েছে সেই ইতিহাসটা জেনে নেবো।
প্রায় ১৫০ বছর আগে টেলিফোন যন্ত্রটির আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। তিনি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি। যার নাম ‘টিঅ্যান্ডটি’। সেখান থেকেই টেলিফোনের প্রচলন শুরু হয়। যার থেকেই আবিস্কৃত হয় এই ‘হ্যালো’ শব্দটি।
কীভাবে জন্ম হল ‘হ্যালো’শব্দটির? কে প্রথম শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন? এ নিয়ে দু’ধরণের তথ্য প্রচলিত রয়েছে গোটা দুনিয়ায়। তবে বেশিরভাগ মানুষই ভ্রান্ত ধারণাটা জানে। কিন্তু প্রকৃত কারণ জানলে চমকাতে হয়।
স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে প্রথম তার প্রেমিকা ‘মার্গারেট হ্যালো’কে ফোন করেছিলেন। ফোন করে তিনি যে কথাটি প্রথম বলেছিলেন, তা ছিল ‘হ্যালো’। তিনি তাঁর বান্ধবীর নাম ধরেই ডেকেছিলেন এবং প্রেমিকার প্রতি বিজ্ঞানীর ভালোবাসার ডাক হিসেবে তা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়ে পড়ে।
অথচ তা সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যাকে বিয়ে করেছিলেন তার নাম ম্যাবেল গার্ডিনার হুবার্ড। অর্থাৎ হ্যালো নিয়ে সমাজে যে ধারণা রয়েছে তা ভুল।
মানুষ টেলিফোনে যে শব্দটি প্রথম বলেছিল তা ‘হ্যালো’ নয়। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম নিজের সহকারীকে ফোন করেন। ফোন করে প্রথম শব্দটি বলেছিলেন ‘আহয়হই’(ahoy-hoy or ahoy। এরপর কিছুদিন ফোন ধরলেই সকলে ব্যবহার করত ahoy শব্দটি।
টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় কোনও রিং কিংবা কল-ডিসকানেক্টের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সব সময়ই একটি লাইন কানেক্ট করা থাকত, প্রয়োজনের সময় কথা বলা হতো দুই পাশ থেকেই। সেই সময় একপাশের ব্যক্তির সঙ্গে অপরপাশের ব্যক্তির কথা বলার সময় কথোপকথন শুরু করার জন্য সম্ভাষণের প্রয়োজন দেখা দিল।
১৮৭৭ সালের ১৮ জুলাই থমাস আলভা এডিসন ‘প্রিন্সিপাল অব রেকর্ডেড সাউন্ড’আবিষ্কারের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজের জন্য বারবার ‘হ্যালো’শব্দটি উচ্চারণ করেন। আর এই শব্দটিই তিনি প্রথম তাঁর উদ্ভাবিত ‘পেপার সিলিন্ডার ফনোগ্রাফ’যন্ত্রে রেকর্ড করেছিলেন। এরপর থেকেই ‘হ্যালো’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়, আজও আমরা ব্যবহার করে চলেছি।
এটি হচ্ছে হ্যালো বলার ইতিহাস। দর্শক এমন সব সুন্দর সুন্দর ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলের সাথেই থাকুন।