সস্তা ও সহজলভ্য খনিজ দ্রব্য ফিটকিরি তবে এর উপকারিতার জুড়ি মেলা ভার। জানলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন।
কারণ অত্যন্ত শুষ্ক প্রকৃতির খনিজ দ্রব্যটি কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। তবে ওষুধে ব্যবহারে জন্য লাল রং এর ফিটকিরি সবচেয়ে ভালো।
এবার জেনে নিন এই খনিজ দ্রব্যটির উপকারিতা সম্পর্কে-
এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে থাকে ফিটকিরি। মুখের ভেতরে কোনও ঘা হলে, সেখানে এই খনিজ দ্রব্যটি লাগান। জ্বালা করতে পারে, কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘা শুকাবে।
তবে লালা গিলে ফেলবেন না। আর শিশুদের থেকে দূরে রাখবেন ফিটকিরি। মুখের ঘা এর সমস্যা সমাধানের সহায়ক ফিটকিরি।
ব্যাকটেরিয়ার ফলে মুখে গন্ধ হয়। ফিটকিরি ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সক্ষম। এক গ্লাস পানি ফোটান তার মধ্যে এক চিমটি লবণ দিয়ে মেশান।
তারপর ফিটকিরির গুঁড়া মেশান। মিশ্রণ ঠান্ডা হলে, তা দিয়ে কুলকুচি করুন। তাতে সহজেই দূর হবে মুখের দুগর্ন্ধ।
শিশুদের মাথায় প্রায়ই উকুন ও উকুনের ডিম হয়। পানিতে ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে তার মধ্যে একটু চা গাছের তেল (টি ট্রি অয়েল) মেশান।
এবারে ১০ মিনিট ধরে মাসাজ করুন স্ক্যাল্পে। এর পরে শ্যাম্পু করে নিন। চুলে উকুনের সমস্যা সমাধান হবে খুব সহজেই।
মুখে ব্রণ হলে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ মুলতানি মাটি, দু’চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানান।
প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণের সমস্যা সমাধানের কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
দাড়ি সেভের পরে বা কেটে গেলে ফটকিরি লাগিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তাতে দারুণ ফল পাওয়া যাবে।
বয়সের ছাপ পড়লে এক টুকরো ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে তা মুখে ঘষুন। তার পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তাতে বয়সে ছাড় পাবেন।
পায়ে শিরায় টান পড়লে ফিটকারির গুঁড়ো, হলুদ ও পানি দিয়ে একটি পেস্ট বানান। ব্যথা হলে সেখানে লাগান। ব্যাথা দূর হবে।
কোনো ভাবেই চোখের এরিয়াতে দেয়া যাবে না। চোখ থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না একদমই। প্রতিদিন ব্যবহার করার ফলে ত্বক কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ড্রাই স্ক্যাল্পে ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বক আরো বেশি ড্রাই হয়ে যাবে। ফলে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে