হোজ্জা নাসিরুদ্দিন বাজার থেকে আস্ত একটা খাসি কিনে এনেছেন। বিশাল এক নধর খাসি। আগামি কোরবানিতে এটির সদ্ব্যবহার করা হবে।
এদিকে খাসির তেল চকচকে শরীর দেখে হোজ্জার পাড়ার লোকেদের ঘুম হারাম। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিল, যে করেই হোক এ খাসির মাংসে ভুড়িভোজন করতেই হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ। সক্ক্বলে মিলে বুদ্ধি করে এক সন্ধ্যায় হোজ্জার বাড়ি গিয়ে হাজির। সবাইকে একসাথে দেখে হোজ্জাও আবাক।
– নাসিরুদ্দিন ভাই, খবর শুনেছেন কিছু?
– কী খবর?
– আগামিকাল কেয়ামত। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
– হায়, হায়! বলো কি?
– আরে সেটাই তো বলছি। আমরা সবাই ভাবলাম, আপনার এই খাসির কোরবানি তো আর হবেনা। আজকেই আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করে ফেলেন। কেয়ামতের আগে সবাই মিলে একটু ভালোমন্দ খাই।
হোজ্জা রাজি হয়ে গেলেন। এরপর বেশ ধুমধাম করে খাসি জবাই, কাটা, রান্না শেষ হলো। সকলে মিলে খাওয়া দাওয়াও হলো জব্বর। ভরপেট খেয়ে সকলে হোজ্জার বাড়ির উঠোনেই ঘুমিয়ে পরলেন।
পরদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে সকলে দেখে কারো শরীরে এক টুকরো কাপড় নেই।
পাশেই দাঁড়িয়ে হোজ্জা বেশ আয়েশ করে মেসওয়াক করছে। সকলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সে বেশ ধীরেসুস্থে হোজ্জা নাসিরুদ্দিন বললো, “আজ যেহেতু কেয়ামত হবার কথা। তাই ভাবলাম, তোমাদের জামাজুতো রেখে আর কি হবে? ওগুলো সব পুড়িয়ে দিয়েছি।”