বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যাদের সম্পদের প্রাচুর্যতা থাকলেও জনশক্তির অভাব রয়েছে। তাতে নেতিবাচক প্রভাব পরে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ভিন দেশী লোকদের নাগরিকত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। মাঝে মধ্যেই দেয়া হয় বিজ্ঞাপনও। সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে সেসব দেশ সম্পর্কে জানানো হবে আর্টিকেলে।
অভিবাসন নীতি ও শর্তগুলো সহজ এমন দেশে গিয়ে চাইলেই যে কেউ নাগরিকত্ব লাভের আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করলে সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় এমন দেশ সম্পর্কে জানতে জার্নালস মনিটর এর এই আর্টিকেল পড়া চালিয়ে যান।
অজানা মানুষের দেশ বেলিজ
মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূল সংলগ্ন একটি দেশে নাম বেলিজ। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ বেলিজের নাগরিক হতে পারেন আপনিও। দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম ও মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার হয়।
এক নজরে বেলিজ
ডলার রেট: প্রতি ১ মার্কিন ডলার সমান ২ বেলিজ ডলার।
মুদ্রার নাম: বেলিজ ডলার।
মাথাপিছু আয় : ৫ হাজার ৮১২ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় ভাষা: স্প্যানিশ ও ক্রেওল।
জনসংখ্যা: প্রায় ৩ লাখ।
রাষ্ট্রীয় নাম: রিপাবলিক অব বেলিজ
সরকার ব্যবস্থা: গণতন্ত্র।
আয়তন: ১২,৯৭০ বর্গ কিলোমিটার।
রাজধানী: বেলমোপান।
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (রোমান ক্যাথলিক ৬৫%, প্রোটেস্ট্যান্ট ৩৫%)
ভৌগলিক অবস্থান: দেশের তিন-চতুর্থাংশ এলাকা অরণ্যে আবৃত।
সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে তাদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে বেলিজ।
বেলিজের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
- ১. আবেদনকারীকে টানা পাঁচ বছর বেলিজে বসবাস করতে হবে।
- ২. ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে ২ হাজার মার্কিন ডলার থাকতে হবে।
- ৩. বেলিজের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে এমন দেশের নাগরিক ব্যতিত যে কেউ নাগরিকত্ব পেতে পারে।
ভিসামুক্ত এক ভিন্ন জগত সেশেলস
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ সেশেলস। প্রকৃতির এক অপরুপ স্বর্গরাজ্য ও আফ্রিকা মহাদেশের ভিসা-মুক্ত একটি দেশ সেশেলস দ্বীপপুঞ্জ। পূর্ব আফ্রিকার মূল ভূগন্ড থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দেশটি।
প্রায় ১১৫ টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত সিশেলস। বৈধ পাসপোর্ট, ভ্রমণের রিটার্ন টিকিট, হোটেল বুকিং ও থাকার সময়কালের জন্য অর্থের প্রমাণ থাকলেই যে কেউ সেশলস যেতে পারেন।
এক নজরে সেশেলস
ডলার রেট: ১ মার্কিন ডলার সমান ১৪ সেশেল রুপি
মুদ্রার নাম: সেশেলস রুপি।
মাথাপিছু আয়: ১৯ হাজার ২৭৫ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় ভাষা: সেশেলস ক্রোলি( তবে ফ্রেন্স ও ইংলিশ ভাষাও দেশটিকে ব্যবহার হয়।)
জনসংখ্যা: প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার
সরকার ব্যবস্থা: প্রজাতন্ত্র।
আয়তন: ৪৫৫.৩৯ বর্গ কিলোমিটার।
রাষ্ট্রীয় নাম: রিপাবলিক অফ সেশেলস।
রাজধানী: ভিক্টোরিয়া
রাষ্টীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (খ্রিস্টান ৮৯.২%, মুসলিম ১.১% ও বাকিরা অন্যান্য ধর্মীয় অনুসারি)
ভৌগলিক অবস্থান: ভারত মহাসাগরের মাঝে ছোট একটি দ্বীপ দেশ।
নিকটবর্তী দেশ: কমোরোস, মায়োট, মাদাগাস্কার, রেউনিওন এবং দক্ষিণে মরিশাস রয়েছে। পাশাপাশি মালদ্বীপ এবং ব্রিটিশ ভারত মহাসাগর অঞ্চল পূর্ব দিকে রয়েছে।
সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে তার মধ্যে রয়েছে সেশেলস। সেশলসে নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে মানতে হয় কিছু মামুলি শর্ত্য। এসব সহজ শর্ত মানলেই ভিনদেশি যে কোনো নাগরিকই সেশলসে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
সেশেলসে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রশাসনকে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার জমা দিতে হবে।
২. দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।
বিশ্ব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দেশ আর্মেনিয়া
পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার মধ্যবর্তী দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত স্থলবেষ্টিত একটি দেশের নাম আর্মেনিয়া। এই দেশটি বিশ্ব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দেশ। আয়তনে তেমন বড় না হলেও এর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
এক সময় আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। প্রকৃতির লীলাভূমি, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ আর্মেনিয়া। বিশ্বের প্রাচীন সংস্কৃতি-সভ্যতা দেখার জন্য প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো পর্যটক আর্মেনিয়া ভ্রমণ করেন।
এক নজরে আর্মেনিয়া
ডলার রেট: ১ মার্কিন ডলার সমান ৪০০ আর্মেনিয়ান দ্রাম
মুদ্রার নাম: আর্মেনিয়ান দ্রাম
মাথাপিছু আয়: ৪ হাজার ৪৪৬ মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: আর্মেনীয়। (প্রায় ৯০% আর্মেনিয়ান আর্মেনীয় ও রুশ উভয় ভাষাতেই স্বাচ্ছন্দে কথা বলতে পারেন)
জনসংখ্যা: ৩০ লাখ ২০ হাজার।
সরকার ব্যবস্থা: প্রজাতন্ত্র।
আয়তন: ২৯, ৮০০ বর্গকিলোমিটার
রাজধানী: ইয়েরেভান
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (দেশটিতে স্বল্পসংখ্যক ইহুদি, ইয়াজিদি ও মুসলমানও রয়েছে)
ভৌগলিক অবস্থান: আর্মেনিয়ার উত্তরে জর্জিয়া, দক্ষিণে ইরান, পূর্বে আজারবাইজান ও পশ্চিমে তুরস্ক অবস্থিত।
সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে এর মধ্যে আর্মেনিয়া শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে নাগরিকত্ব লাভ করতেও খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয় না।
আর্মেনিয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আবেদনকারীকে তিন বছর বসবাস করতে হবে।
২. প্রথমে আর্মেনিয়ান রেসিডেন্স পারমিট জোগাড় করতে হবে।
৩. দেশটির কোনো কাজে বিনিয়োগ করলেই এই পারমিট পাওয়া যায়।
৪. আর্মেনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
ধনী হতে যেতে পারেন পানামা
মধ্য আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় দেশটি অথনৈতিক দিক দিয়ে অত্যন্ত উন্নত পানামা। আমেরিকার বন্ধু দেশ পানামা। পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সংযোগস্থলে দেশটি অবস্থিত। এর পূর্বে আটলান্টিক ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।
দুইটি মহাদেশের সংযোগস্থল ও দুইটি মহাসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় পানামার কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। আমাজন অববাহিকার তীরে বৃহত্তম বনাঞ্চল রয়েছে পানামায়। প্রতিবছর ১৫ হাজারেরও বেশি জাহাজ জলপথটি দিয়ে আট ঘণ্টার এই পথ পাড়ি দেয়। দেশটির অর্থনীতিতে এর প্রভাব লক্ষ্যণীয়।
এক নজরে পানামা
ডলার রেট: ১ মার্কিন ডলার এর সমান ১ পানামানিয়ান বালবোয়া।
মুদ্রার নাম: পানামানিয়ান বালবোয়া (দেশটিতে বালবোয়া ও মার্কিন ডলার দুই ধরণের মুদ্রার প্রচলন আছে)
মাথাপিছু আয়: প্রায় ১৫ হাজার ৩১৩ মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: স্প্যানিশ
আয়তন: ৭৫ হাজার ৪১৭ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ৪৩ লাখ
সরকার ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
রাজধানী: পানামা সিটি
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী। বাকিদের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাসী নয়)
ভৌগলিক অবস্থান: দেশটির পশ্চিমে কোস্টারিকা, দক্ষিণ-পূর্বে কলম্বিয়া, উত্তরে ক্যারিবীয় সাগর ও দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগর অবস্থিত।
সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে এর মধ্যে পানামাতে খুব সহজেই অভিবাসী হওয়া সম্ভব। বিশেষ করে, কেউ যদি আমেরিকান হয়ে থাকে তার জন্য আরও সহজ। কারণ দেশটি আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র। দীর্ঘ সময়ের জন্য ‘অবসর ভিসা’দিয়ে থাকে পানামা।
তবে আপনাকে অবশ্যই এই জন্য ১,০০০ ডলার মাসিক আয় দেখাতে হবে। আর তরুণরা এই দেশের অভিবাসী হতে চাইলে, পানামিয়ান ব্যাংকে ৫,০০০ ডলার জমা দিতে হবে।
এরপর দেশটি ভিসা প্রদান করবে। পানামার অভিবাসন নীতি দেখলে আপনার মনে হবে, তারা অভিবাসীদের জন্য ডালা সাজিয়ে বসে আছে। এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পঞ্চাশটিরও অধিক বিকল্প রয়েছে।
পানামায় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. প্রথমে দু-বছর স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়, যা দু-বছর পর পর নবায়ন করা যায়।
২. দেশটিতে পাঁচ বছর বসবাস করার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয়।
৩. পানামার নাগরিকত্ব পেতে হলে, অবশ্যই নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে।
সোনা রুপার খনির দেশ পেরু
দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ পেরু। পেরু স্বর্ণ ও রূপার খনির দেশ। দুই ধাতুর খনি পেরুকে দক্ষিণ আমেরিকাতে সম্পদ ও শক্তির কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছে। পেরুর অর্থনীতিতে আজও খননশিল্প প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তবে কৃষি, মৎস ও পর্যটন অর্থনীতির বড় অংশ।
বহু পর্যটক ইনকা সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেরুতে বেড়াতে আসেন। বিশেষ করে আন্দেস পর্বতমালার উপরে মাচু পিচু বিশ্ববাসীর কাছে খুবই জনপ্রিয় পযটন স্পট।
এক নজরে পেরু
ডলার রেট: ১ ডলার সমান ৪ সোল
মুদ্রার নাম: পেরুভিয়ান সোল (পেন)
মাথাপিছু: ১৩ হাজার ৫০১ ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: স্প্যানিশ (স্প্যানিশ ৮৪.১ শতাংশ, অন্যান্য ভাষা: কুয়েচুয়া ১৩ শতাংশ, আয়মারা ১.৭ শতাংশ ও আশানিংকা ০.৩ শতাংশসহ বেশ কিছু স্থানীয় ভাষা রয়েছে)
জনসংখ্যা: তিন কোটি ১৯ লাখ
সরকার ব্যবস্থা: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র
আয়তন: ১২ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ বর্গকিলোমিটার
রাজধানী: লিমা
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (রোমান ক্যাথলিক ৮১.৩%, অন্যান্য ১২.৫% বাকিরা কোনো ধর্ম অনুসরণ করে না)
ভৌগলিক অবস্থান: লাতিন (দক্ষিণ) আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ পেরু। এর উত্তরে ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া, পূর্বে ব্রাজিল, দক্ষিণ-পূর্বে বলিভিয়া, দক্ষিণে চিলি এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।
সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যেসব দেশে এমন দেশের তালিকায় রয়েছে লাতিন বা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটিতে নাগরিকত্ব লাভ করতেও খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয় না।
পেরুতে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আবেদনকারীকে পেরুতে দুই বছর থাকতে হবে।
২. পেরুর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হবে।
৩. পেরুতে যে কোনো ব্যবসা শুরু করতে হবে
৪. দুই বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয়
উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ ইকুয়েডর
দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ ইকুয়েডর। দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। ইকুয়েডরে উন্নয়নশীল অর্থনীতি রয়েছে, যা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। যেমন পেট্রোলিয়াম ও কৃষি পণ্য।
এক নজরে ইকুয়েডর
ডলার রেট: মার্কিন ডলারের সমান।
মুদ্রার নাম: মার্কিন ডলার।
মাথাপিছু আয়: ১১ হাজার ২৪৪ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় ভাষা: স্প্যানিশ ( এর পাশাপাশি স্বীকৃত ভাষা কিচুয়া ও সুয়ার)
জনসংখ্যা: ১ কোটি ৭৮ লাখ
সরকার ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র।
আয়তন: ২,৮৩,৫৬১ বর্গ কিলোমিটার।
রাজধানী: কিতো
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান( খ্রিস্টান ৯৩.১%, নাস্তিক ৬.১% ও অন্যান্য ধর্ম ০.৮%)
ভৌগলিক অবস্থান: ইকুয়েডরের উত্তরে কলম্বিয়া, দক্ষিণ ও পূর্বে পেরু ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।
ষোড়শ শতাব্দীতে স্পেনের উপনিবেশ ছিল ইকুয়েডর। ইকুয়েডরে মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার হয়। মাসিক আয় ৮০০ ডলার হতে হবে ও এর বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। পাশাপাশি ১০০ ডলার অতিরিক্ত নির্ভরযোগ্যতার জন্য দেখাতে হবে। এটি ‘পেনশন ভিসার’অধীনে পড়ে।
তবে ইকুয়েডরের সরকার পেনশন ভিসা নিচ্ছেন কিনা যাচাই করে না। পেনশন ভিসা পাওয়ার ২১ মাস পর এখানে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
ইকুয়েডরে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আবেদনকারীকে অন্তত তিন বছর ইকুয়েডরে বসবাস করেত হবে।
২. ইকুয়েডর সরকার কর্তৃক যাচাইকৃত জন্মসনদ থাকতে হবে।
৩. ইকুয়েডরে বসবাসরত আবাসটি দেশটির সরকার কর্তৃক যাচাই করে, সঠিক কাগজপত্র দিতে হবে।
৪. ইকুয়েডরের নাগরিক হওয়ার জন্য ব্যাংওক ১ হাজার মার্কিন ডলার থাকা আবশ্যিক।
৫. অতীতে কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত না থাকার প্রমাণপত্র দিতে হবে।
সহজেই নাগরিকত্ব মেলে প্রাচীন সভ্যতার দেশ মেক্সিকোতে
আয়তনের বিচারে দুই আমেরিকার ৫ম বৃহত্তম তথা বিশ্বে ১৫তম দেশ মেক্সিকো। জনসংখ্যার বিচারে মেক্সিকো বিশ্বের ১১তম জনবহুল দেশ। ৩১টি রাজ্য ও একটি রাজধানী শহর নিয়ে মেক্সিকো গঠিত।
মেক্সিকানদের চিত্রশিল্প, ভাস্কর্য ও সাহিত্যের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। মেক্সিকানরা গান শোনা ও সিনেমা দেখতে ভালোবাসে। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। ফ্যামেন্ডো ভ্যালেনজুয়েলা তাদের অন্যতম প্রিয় খেলা। তাছাড়া অলিম্পিক গেমসেও মেক্সিকোর সুনাম আছে।
মেক্সিকোতে মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটে খ্রিস্টপূর্ব আট হাজার বছর আগে। প্রাচীন মায়া ও আজটেক সভ্যতার কেন্দ্রভূমি ছিল মেক্সিকো। এটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ।
এক নজরে মেক্সিকো
ডলার রেট: এক মার্কিন ডলার সমান ১৭ মেক্সিকান পেসো।
মুদ্রার নাম: পেসো
মাথাপিছু আয়: ১৬ হাজার ৩৮৩ মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: স্প্যানিশ (দেশটির ৯৯ শতাংশ মানুষ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে। তবে ভাষার বৈচিত্র্যের দিক থেকেও অনন্য এই দেশে স্প্যানিশ মূল ভাষা হলেও প্রায় ৬৯টি ভিন্ন আদিবাসী ভাষার চল রয়েছে এখানে যা জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃত।)
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান (৮৩ শতাংশ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। ইসলাম মেক্সিকোর সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভকারী ধর্ম। অন্যান্য আরও বেশ কিছু ধর্ম আছে। এছাড়া ধর্ম পালন করে না এমন মানুষও এখানে বসবাস করেন)
জনসংখ্যা: প্রায় ১২ কোটি ৭৫ লাখের অধিক।
সরকার ব্যবস্থা: প্রজাতন্ত্র
আয়তন: ১৯,৭২,৫৫০ বর্গ কিলোমিটার
রাজধানী: মেক্সিকো সিটি
ভৌগলিক অবস্থান: উত্তর আমেরিকার একটি দেশ মেক্সিকো। সরাকরিভাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় মেক্সিকান প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত। এই দেশের উত্তর সীমান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ-পূর্বে গুয়াতেমালা, বেলিজ ও ক্যারিবিয়ান সাগর এবং পূর্বে মেক্সিকো উপসাগর অবস্থিত।
মেক্সিকোতে পাঁচ বছর থাকার পর অভিবাসীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদনকারী যদি মেক্সিকান বংশোদ্ভূত হলে তার সুবিধা বেশি পাওয়া যায় নাগরিকত্বের বেলায়।
মেক্সিকোতে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. পাঁচ বছর মেক্সিকোতে থাকার পর অভিবাসীরা মেক্সিকোর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
২. আবেদনকারী মেক্সিকান বংশোদ্ভূত হলে, তাঁর কোনো মেক্সিকান সন্তান থাকলে, বা মেক্সিকান স্ত্রীর সঙ্গে দুই বছর ধরে বিয়ে করে সংসার করলেও সহজে নাগরিকত্ব লাভ হয়।
৩. মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক বা শৈল্পিক ক্ষেত্রে অবদান থাকলে দুই বছরও সংসার করার দরকার পড়ে না। সহজেই নাগরিকত্ব মেলে।
৪. তবে এক্ষেত্রেও আবেদনকারীকে আবিশ্যিকভাবে স্প্যানিশ বলতে জানতে হবে।
৫. এছাড়াও মেক্সিকান ইতিহাস, সংস্কৃতির প্রতি সম্মান ও জ্ঞান থাকতে হবে।
৬. অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব থাকলে তা ছেড়ে দিতে হবে।
পাঁচ বছরেই মেলে স্বপ্নের দেশ কানাডার নাগরিকত্ব:
কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র, যা উত্তর আমেরিকার উত্তর মেরুর বেশির ভাগ অঞ্চল নিয়ে অবস্থিত। কানাডা দেশের সবচেয়ে ধনী দেশ গুলির একটি। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম দেশ। কানাডা বছরে প্রায় আট মাস বরফে আচ্ছন্ন থাকে। বিশ্বের প্রায় ৬০ ভাগ পোলার বিয়ার (ভাল্লুক) কানাডাতে পাওয়া যায়।
সৌদি আরব এবং ভিনেজুয়েলার পর কানাডাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেলের মজুদ রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা বাস্কেটবল কানাডাতে আবিষ্কৃত হয়।
একন নজরে কানাডা:
ডলার রেট: ১ মার্কিন ডলার সমান ১.৫০ কানাডিয়ান ডলার
মুদ্রার নাম: ডলার
মাথাপিছু আয়: ৫২ হাজার মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: ইংরেজি ও ফরাসি
জনসংখ্যা: ৩ কোটি ৭০ লাখ
সরকার ব্যবস্থা: সংসদীয় গণতন্ত্র
আয়তন: প্রায় ১ কোটি বর্গকিলোমিটার ( ৯৯,৮৪,৬৭০ বর্গকিলোমিটার)
রাজধানী: অটোয়া (কানাডার রাজধানী অটোয়া হলেও কানাডার বৃহত্তম শহর টরেন্টো)
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিটান( দেশটির মোট শতাংশের ৬৭.৭% মানুষ খ্রিস্টান)
ভৌগলিক অবস্থান: উত্তর আমেরিকা দেশ কানাডা। এটি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উত্তর দিকে আটলান্টিক ও আর্টিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সীমানা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে অবস্থিত, যার দৈর্ঘ্য ৮ হাজার ৮৯১ কিলোমিটার। ।
কানাডা বর্তমানে অনেকেরই স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। দেশটি নাগরিকত্ব প্রদানে অভিবাসীদের জন্য সহজ ও উদারপন্থী কিছু শর্ত রেখেছে। কানাডায় বসবাস করেন প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মার্কিন বংশোদ্ভুত নাগরিক। শুধু মার্কিনীরাই নন কানাডায় ভারতীয়দের সংখ্যাও অনেক। ।
ভিনদেশিরা কানাডায় নির্দিষ্ট ১২ ক্যাটাগরিতে সহজেই কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এরপর ৫ বছরের মধ্যে কেবল কয়েকশ দিন কানাডায় অবস্থান করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আবেদনকারীকে কম করে পাঁচ বছর থাকতে হবে।
২. তার মধ্যে টানা ১,০৯৫ দিন থাকার প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদন করার আগে বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আয়করসহ বার্ষিক তিনটি কর বাধ্যতামূলক দাখিল করতে হবে।
৪. ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতা, কানাডার ইতিহাস, মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠান ও অধিকার সম্পর্কে আবেদনকারীর জ্ঞান প্রদর্শনের জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হবে।
অর্থ জমায় মিলে হাঙ্গেরির নাগরিকত্ব
মধ্য ইউরোপের স্থলবেষ্টিত দেশ হাঙ্গেরী। ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ হাঙ্গেরী। দানিয়ুব নদীর উপত্যকায় অবস্থিত এই দেশের বেশিরভাগ এলাকা। হাঙ্গেরীর মানুষ নিজেদের ‘মজর’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।
নবম শতকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী ‘মজর’ জাতিগোষ্ঠী অঞ্চলটিতে আসে। মজর জাতিগোষ্ঠীর বংশধর হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় হাঙ্গেরীয়রা। ‘মজর’ নামক এক যাযাবর গোষ্ঠী হাঙ্গেরীতে আসে। ইউক্রেন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভানিয়া, অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়া প্রতিবেশি দেশ।অস্ট্রো-হাঙ্গেরী ও সার্বিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
ইতিহাসের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, তারা হাঙ্গেরী ভ্রমণ করে থাকেন বেশি। হাঙ্গেরীতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। বুদাপেস্ট হাঙ্গেরীর রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর। ইউরোপের মনোমুগ্ধকর শহরগুলোর অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরটিতে অসংখ্য ইহুদিকে হত্যা করা হয়। শহরটি বুদা ও পেস্ট দুই অংশে বিভক্ত। এই শহরে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
এক নজরে হাঙ্গেরী-
ডলার রেট: এক মার্কিন ডলার সমান ৩৫০ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট।
মুদ্রার নাম: ফোরিন্ট
মাথাপিছু আয়: ২০ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: হাঙ্গেরীয়
জনসংখ্যা: ৯৭ লাখ ৮০ হাজার
সরকার ব্যবস্থা: প্রজাতন্ত্র
আয়তন: ৯৩ হাজার ৩০ বর্গ কিলোমিটার
রাজধানী: বুদাপেস্ট
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান। (৬০ শতাংশ খ্রিস্টান, ১৭ শতাংশ কোনো ধর্মেই বিশ্বাসী নয়, ০.৫ শতাংশ মুসলিম।
ভৌগলিক অবস্থান: মধ্য ইউরোপের স্থলবেষ্টিত দেশ হাঙ্গেরি। দেশটির সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলো হলো ইউক্রেন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভানিয়া, অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়া।
যদি আপনার পূর্বপুরুষ হাঙ্গেরি থেকে থাকে তবে আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারে এমন অনেক জাতিগোষ্ঠীর জন্য এটি সবচেয়ে
হাঙ্গেরীতে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ::
১. আবেদনকারীকে কমপক্ষে ৮ বছর হাঙ্গেরীতে বসবাস করতে হবে।
২. আবেদনকারীর চরিত্র অনেক ভালো হতে হবে
৩. আবেদনকারীর কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকা যাবে না।
৪. হাঙ্গেরীতে বৈধভাবে থাকতে হবে।
৫. নাগরিকত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৬. আপনি যে দেশ থেকে যাবেন, সেই দেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।
৭. হাঙ্গেরি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
৮. সরকারের তহবিলে জমা দিতে হবে ৩ লাখ ইউরো।
এসব শর্ত মেনে আবেদন করলে হাঙ্গেরীতে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এছাড়া মাত্র দুই মাসের মধ্যেই কোনো ব্যবসায়ী হাঙ্গেরির নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে।
জন্মগ্রহণেই মেলে আয়ারল্যান্ডে নাগরিকত্ব:
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের ছিমছাম সাজানো-গোছানো ছোট্ট স্বর্গীয় দ্বীপ আয়ারল্যান্ড। এটি ইংল্যান্ডের পাশে অবস্থিত ছোট দেশ। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ডাবলিন। ডাবলিন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী শহর। ইউরোপের আলোচিত একটি দেশ আয়ারল্যান্ড। প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্যক্তি আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা।
আয়ারল্যান্ড নিয়ে রুপকখার যেন শেষ নেই। শুনতে অবাক লাগলেও পুরো আয়ারল্যান্ডে কোনো সাপ নেই। ব্যক্তিগতভাবে কিছু শৌখিন ব্যক্তির সংগ্রহে ও চিড়িয়াখানায় অল্প কিছু থাকলেও গোটা আয়ারল্যান্ডের বনে-জঙ্গলে কোথাও কোনো সাপ নেই।
আইরিশ রূপকথা অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার কারণ হচ্ছে, সেইন্ট প্যাট্রিক নামে এক ধর্মপ্রচারক মন্ত্রের জোরে সব সাপ সমুদ্রে ডুবিয়ে দিয়ে সাপের হাত থেকে আয়ারল্যান্ডকে মুক্ত করেছিলেন।
আইরিশ উপকথা অনুযায়ী, ধর্ম প্রচারের এক পর্যায়ে সেইন্ট প্যাট্রিক ৪০ দিনের জন্য ধ্যান-উপবাস করতে এক পাহাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। সে সময় তাকে কিছু সাপ আক্রমণ করলে তিনি সব সাপকে তাড়িয়ে সমুদ্রে নিয়ে যান এবং আয়ারল্যান্ডকে সাপমুক্ত করেন। সেই থেকে আয়ারল্যান্ডে আর কোনো সাপ আসতে পারেনি।
এক নজরে আয়ারল্যান্ড-
ডলার রেট: এক মার্কিন ডলার সমান ০.৯০ পাউন্ড স্টার্লিং
মুদ্রার নাম: পাউন্ড স্টার্লিং
মাথাপিছু আয়: ৯৪ হাজার ৩৯২ মার্কিন ডলার
রাষ্ট্রীয় ভাষা: আইরিশ ও ইংরেজি
জনসংখ্যা: ৬৫ লাখের অধিক
সরকার ব্যবস্থা: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র
আয়তন: ৭০ হাজার ২৭৩ বর্গকিলোমিটার
রাজধানী: ডাবলিন
রাষ্ট্রীয় ধর্ম: খ্রিস্টান ( খ্রিস্টান ৮৫.১% এর মধ্যে আবার ক্যাথলিক খ্রিস্টান ৭৮.৩%, ধর্মহীনতা ১০.১%, অন্যান্য ধর্ম ২.০%)
ভৌগলিক অবস্থান: উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের ছিমছাম সাজানো-গোছানো ছোট্ট স্বর্গীয় দ্বীপ আয়ারল্যান্ড। এটি ইংল্যান্ডের পাশে অবস্থিত একটি ছোট দেশ।
আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা ও ধাপসমূহ:
১. আইরিশ ঐতিহ্য সম্পর্কে গভীর সম্মান থাকলে নাগরিকত্ব লাভ করা সহজ হয়।
২. বংশে কোনো আইরিশ ব্যক্তি থাকলেও সহজে আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব মেলে। যেমন মা, বাবা, নানা নানী, দাদা দাদীদের মধ্যে কেউ যদি জন্মগ্রহণ করে থাকেন তাহলে সহজেই সেখানকার নাগরিকত্ব লাভ করা যায়।
৩. আবার একটানা এক বছর কেউ যদি আয়ারল্যান্ডে বসবাস করেন তাহলেও সহজেই সেখানকার নাগরিক হতে পারবেন।
শেষ কথা:
যদি আপনার ভিন দেশের নাগরিক হওয়ার মতো যোগ্যতা থাকে। তাহলে আপনি যেসব পদ্ধতি ফলো করে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব পেতে আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেশের কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
তারপর আপনাকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যুক্ত করতে হবে। তারপর আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। সবশেষে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি যদি অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে এসব নিয়মে আবেদন করতে হবে।