সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করার পাঁচটি টিপস

প্রেম- ভালোবাসার সম্পর্কের অনুভূতিটা অসাধারণ। ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজনা, একে অপরের জন্য অপেক্ষা, দু্ষ্টু মিষ্টি ঝগড়া, কিছুক্ষণ পর আবার অভিমান ভাঙ্গা, পূনরায় মিল হওয়া, আবেগঘন আলাপ।

সম্পর্কে পূর্ণতা অর্জন আর চিরস্থায়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পথ জানানো হলো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

১. সম্পর্ক যতই পুরানো আর পরিণত হোক না কেনো, তা ভাঙার সম্ভাবনা কখনই ফুরিয়ে যায় না। সম্পর্কের প্রতি দুজনেরই কিছু চাহিদা থাকে। সেগুলো অপরজনের কাছে যদি প্রাধান্য না পায়, সেগুলো পূরণ হওয়া আশা দূরাশাই রয়ে যায় তবে একদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে সম্পর্কের অবনতি ঘটতেবাধ্য।

ছবি: হার জিন্দিগী

আর আপনার কাছ থেকে সঙ্গীর যে চাওয়াগুলো পূরণ হচ্ছে না অন্য কারও কাছে তা পাওয়া যেতেই পারে। তাই দুজনেরই উচিত সঙ্গীর চাহিদাগুলোর দিকে মনযোগ দেওয়া, তাকে মূল্যায়ন করা।

২. সম্পর্কের প্রথম দিনগুলো নিজেদের মধ্যে যে ভালোবাসা ছিল, কয়েক বছর পর সেই ভালোবাসায় চেহারায় পরিবর্তন আসবে, হয়ত ভালোবাসার মাত্রাও কমবে। তবে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, যত্ন এই অনুভূতিগুলো কখনই কমানো যাবে না।

সম্পর্ক পুরানো হয়েছে বলেই সঙ্গীকে অবহেলা করা মোটেই ঠিক হবে না। তাই প্রথম দিকে সঙ্গীর যে বিষয়গুলোকে ভালোবেসে তার প্রসংশা করতেন, আজও সেই প্রসংশাগুলো তার সামনে প্রকাশ করা অব্যাহত রাখতে হবে।

ছবি: আন স্লেস

৩. সব ভালোবাসার সম্পর্কের নেপথ্যেই থাকে নিজেদের প্রয়োজনগুলো মেটানো। শুধু নিজের নয়, নিজেদের। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ দুজন মানুষ হবে একে অপরের পরিপূরক। আর একে অপরের খেয়াল রাখাটা যতদিন খুশি মনে করে যাবেন, ততদিন ভালোবাসাও বেঁচে থাকবে।

আর সঙ্গীর যত্ন নেওয়া, তার প্রয়োজনগুলো মেটানো যেদিন অনীহা আসবে, সম্পর্কের ধ্বংস শুরু হবে সেদিন থেকেই। সুসম্পর্ক একসময় দুঃসম্পর্কের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।

ছবি: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

৪. দুটি মানুষ একত্র হলে মত বিরোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই মত বিরোধগুলো চেপে রাখলে নেতিবাচকতা বাড়তে থাকবে। এমন একাধিক মতবিরোধ নিয়ে একসঙ্গে ঝগড়া বাঁধলে তার সুষ্ঠু মীমাংসায় আসা কঠিন হয়।

তাই সঙ্গীর কোন আচরণ যদি সইতে না পারেন তবে দ্রুত তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত আর ঝগড়া যখন বাঁধবে তখন যে কারণে ঝগড়া বেধেছ সেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। পুরনো বিষয় টানবেন না তাতে ঝগড়া বড় হবে কমবে না। কোনো সমাধানও আসবে না।

ছবি: হার জিন্দিগী

৫. পরস্পরের আত্মত্যাগগুলো চিহ্নিত করে তার জন্য সঙ্গীকে ধন্যবাদ দেওয়ার মন মানসিকতাকে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। একইভাবে সঙ্গীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশগুলোর জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো সুযোগ কখনই অবহেলা করা উচিত নয়।

সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভবিষ্যতে আরো গাঢ় করার জন্য উভয়ের ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সম্পর্ক গাঢ়, শক্ত পোক্ত হবে। এই সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি অনেক দূরে থাকবে।