সারাদিন বিশেষ কিছু করতে না পারলেও দিনের শেষে ত্বক পরিষ্কার করে তবেই বিছানায় যেতে হয়। তবে বিছানা দেখলেই এমন ক্লান্তি ধরে যায় যে ত্বকের জন্য আধা ঘণ্টা ব্যয় করাও খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে ত্বকে নানান সমস্যা হয়।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। তবে বয়সের কোঠা চল্লিশ পেরোলেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে ত্বকের জেল্লা কমতে শুরু করে।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতি হবে জেনেও এমন কিছু ভুল আমরা করে ফেলি, যা ত্বকের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে।
চলুন জেনে নেয়া যাক যেসব ভুলে ত্বকের ক্ষতি হয়:
মেকআপসহ ঘুমানো:
সারা দিনে যত খুশি মুখে মেকআপ করুন না কেন রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। না হলে সারা রাত মুখ থেকে নিসৃত সেবাম, প্রসাধনীর সঙ্গে মিশে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলোকে আটকে দেয়। ফলে সেখান থেকে র্যাশ, ব্রণের সমস্যা হতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
ব্রণ না খুঁটা:
অনেক সাবধানে থেকেও সেই এক-আধটা ব্রণ মুখে বেরিয়ে পড়ে। সব সময়ে যে প্রসাধন সামগ্রীর জন্যই এমনটা হয়, তা নয়। কোনও কোনও নারীর হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও মুখে ব্রণ বের হতে পারে। তবে ব্রণ দেখলে, তা খুঁটে ফেলার ইচ্ছা করে না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই অভ্যাসেও ত্বকের ক্ষতি করে।
সানস্ক্রিন না মাখা:
বাড়ি থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না বলে সানস্ক্রিন মাখছেন না? সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক কিন্তু অকালে বুড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের ক্যানসার থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে এই সানস্ক্রিন।
অতিরিক্ত স্ক্রাবিং:
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে পেতে মনের সুখে স্ক্রাব ঘষছেন? অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করলেও কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। দেহের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সপ্তাহে দু’-তিন বার স্ক্রাবিং করাই যথেষ্ট। এর বেশি করলেই বিপদ।
ঘাড়, গলা ও বুকের অযত্ন:
ত্বকের যত্নের কথা উঠলে প্রথমেই মুখের দিকে নজর যায়। তবে মুখের চামড়ার সঙ্গে ঘাড়, পিঠ বা বুকের মিল না থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। তাই গোসলের সময়ে আলাদা করে দেহের এই অংশগুলোর যত্ন নিন।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার বয়স যতই বাড়ুক না কেন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। আপনি থাকবেন চির যৌবনা।