দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে।
সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে তা বাস্তবে রুপ দেয় সরকার। সিনেমাটির নাম ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ১৩ অক্টোবর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশজুড়ে ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
জাতির পিতাকে নিয়ে বানানো এই সিনেমাটি নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ ছিল না। মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ।
সিনেমাটি দেখার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন অনেকে। কারও কারও চোখের কোণে জলও চলে আসে।
প্রশ্ন হচ্ছে, সিনেমাতে এমন কি হলো, যা দেখে কেঁদেছেন দর্শকরা? এর উত্তরও মিলেছে। সিনেমাটিতে সত্য গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেন দর্শকরা।
এভাবে মানুষ মানুষকে হত্যা করতে পারে, যিনি দেশটা স্বাধীন করেছেন। তাকে এভাবে মরতে হয়েছে। বিশেষ করে ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে সবাই হতভম্ব। কেউ কথা বলতে পারছে না। শুধু চোখের জ্বল দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। ১২ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বায়োপিকটির প্রিমিয়ার শো দেখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে এই সময়ের জনপ্রিয় তারকারা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ এবং ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।
আরও অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, চঞ্চল চৌধুরী, দিলারা জামান, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।