বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। প্রতি বছরের মতো ২০২৪ সালেও এ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গবেষণা এবং দেশ ও সমাজে নানান অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবার বিশ্বের মোট ১১ জন ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠান নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা। সবার আগে ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীর নাম। সবার শেষে ঘোষণা করা হয় অর্থনীতি শাস্ত্রের নোবেল। বিশ্বব্যাপী সংকটে আশার ঝলক হিসেবে দেখা হচ্ছে ২০২৪-এর নোবেল পুরস্কারকে।
২০২৪ সালের নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে জার্নালস মনিরের এই আয়োজন….
এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রোআরএনএর কার্যক্রম আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পান তাঁরা। পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া আবিষ্কারেও এ দুজন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ৭ অক্টোবর এ দুই মার্কিন চিকিৎসাবিদের নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড ও কানাডার বিজ্ঞানী জিওফ্রে ই হিন্টন পদার্থবিদ্যায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ৮ অক্টোবর এ দুই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিংয়ের মেলবন্ধনে মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের এ অর্জন।
রসায়নশাস্ত্রে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তাদের একজন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার বাকি দুজন ব্রিটিশ গবেষক ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। ডেভিড বেকারকে ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য’ আর ‘প্রোটিন গঠনের পূর্বাভাসের জন্য’যৌথভাবে ডেমিস হাসাবিস ও এম জাম্পারকে পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। ৯ অক্টোবর এই ঘোষণা আসে।
১০ অক্টোবর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যিক হান কাং এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। মানব মনের ভাঙাগড়া ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন ট্রমা সাহিত্যে কাব্যিকভাবে ফুটিতে তোলার কারণে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানের সংস্থা নিহোন হিদানকিয়ো। ১১ অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার জন্য কাজ করছে জাপানের এই সংস্থাটি। এ কারণে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ ড্যারেন আসেমগ্লো, সাইমন জনসন ও জেমস এ. রবিনসন। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে গঠিত হয় এবং সমৃদ্ধিতে এর প্রভাব কেমন, তা নিয়ে কাজ করার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাদেরকে।
বলে রাখা ভালো, অক্টোবর মাসে নোবেল পুরষ্কার ঘোষণা করা হলেও প্রতি বছরের ১০ ডিসেম্বর পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরষ্কার হিসেবে নগদ অর্থের চেক ও ক্রেস্ট হস্তান্তর করা হয়।
প্রিয় পাঠক এই ছিল চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নিয়ে জার্নালস মনিটরের আয়োজন।