২০১০ সালে ফুটবলের বিশ্ব আসরে ওকা ওকা গান গেয়ে নতুন করে নিজেকে মেলে ধরেন পপ তারকা শাকিরা। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি তার ভক্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
বিশ্ববিখ্যাত পপ গানের শিল্পী শাকিরার পুরো নাম ইসাবেল মেবারাক রিপোই শাকিরা। কলম্বিয়ান এই শিল্পী গত ২ মার্চ তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, তিনি বার্সেলোনা ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর মিয়ামিতে চলে যাচ্ছেন। সেখানে তার দুই ছেলে মিলান-১০ এবং সাশা-৮ কে নিয়ে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে বসবাস করবেন তিনি।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাকিরা স্প্যানের বার্সেলোনা শহরে বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে তিনি বার্সেলোনায় বসবাসের জীবনের ইতি টেনে, আমেরিকার ফ্লোরিডায় স্থায়ী হচ্ছেন।
শাকিরা তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, ‘‘বার্সেলোনায় বসবাস করে কিছু মানুষের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিলো। প্রতিবেশীদের ভালোবাসায় আমি প্রতিনিয়ত সিক্ত হতাম। অনেক মিস করবো আপনাদের।’’
তিনি তার পোস্টের উপসংহারে লিখেছেন, ‘আমার স্প্যানিশ ভক্তদের ধন্যবাদ যারা সবসময় আমাকে তাদের ভালোবাসা এবং আনুগত্য দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন, আবার দেখা হবে।’
বার্সেলোনার ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকের সঙ্গে ২০২২ সালে এই পপ গায়িকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের এক বছর পর শাকিরা বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্লোরিডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বলে রাখা ভালো, দীর্ঘ ১২ বছর লিভ-ইন করে গতবছরই ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছেন শাকিরা। পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে স্পেন ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই পপ তারকা।
বার্সেলোনা শহর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার সময় সাবেক সঙ্গী জেরার্ড পিকের প্রতি একটা বিচ্ছেদের বার্তা দিয়েছেন শাকিরা।
শাকিরা দাবি করেছেন, তিনি শিখেছেন যে বন্ধুত্ব প্রেমের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।পাশাপাশি তাঁকে সমর্থনের জন্য কাতালোনিয়াবাসীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
বার্সেলোনায় পিকের বাবা-মায়ের বাড়ির ঠিক পাশেই থাকতেন পিকে-শাকিরা দম্পতি। শাকিরাকে দীর্ঘদিন ধরে ছেলে মিলান ও সাশার সঙ্গে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল। অবশেষে দুই সন্তানকে নিয়ে বার্সেলোনা ছাড়লেন শাকিরা।
বার্সেলোনার আকাশপথের একটি ছবি পোস্ট করে শাকিরা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি আমার সন্তানদের স্থিতিশীলতা দিতে বার্সেলোনায় বসতি স্থাপন করেছিলাম। আমরা এখন পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সমুদ্রের পাশে বিশ্বের অন্য কোণ খুঁজছি। আজ আমরা তাদের সুখের সন্ধানে একটা নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছি।’