অভিজাত জীবনযাপনের জন্য প্রায়ই আলোচনায় আসেন ভারতীয় ধনকুবের ও রিলায়েন্স গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি। তার জীবন শৈলির ধরণের জন্য তিনি বিশ্বব্যপি আলোচনায় আসেন।
তার পানি পান করার কথাই ধরা যাক। এক বোতল পানির জন্য সাধারণ মানুষ কত টাকা খরচ করতে পারে? সাধারণ মানুষ যত খরচই করুক না কেন, নিতা আম্বানি খরচ করেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি ফ্রান্স থেকে আনা বিশেষ ব্র্যান্ডের পানির পেছনে বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করায় বেশ আলোচনা হয়। এবার জানা গেল রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি কোহলির চেয়েও কয়েক গুণ বেশি খরচ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানি পান করেন নিতা আম্বানি। তার পান করা একটি ৭৫০ মিলিলিটার পানির বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ লাখ টাকারও বেশি।
এক বোতল পানির দাম এতো বেশি কেন, তার উত্তর খুঁজছেন অনেকে। আসলে স্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিতা আম্বানি যে পানি পান করেন তার নাম ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির একটি। বোতলবন্দি এই পানি আনা হয় ফ্রান্স ও ফিজি থেকে। ফ্রান্স যে শুধু ওয়াইন, পারফিউম ও ব্যাগের জন্য জগদ্বিখ্যাত তা নয়, পানির জন্যও বিশ্বসেরা।
জানা গেছে, এই পানিতে মিশ্রিত থাকে স্বর্ণভস্ম। ৫ গ্রাম স্বর্ণভস্ম মিশানো থাকে এই পানিতে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ কারণেই এই পানির এতো বেশি দাম।
স্বর্ণভস্ম মিশ্রিত থাকার কারণিই কি শুধু এই পানির দাম এতো এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নেটিজেনদের মাঝে। এর উত্তর হচ্ছে না না, কারণ আরও আছে। শুধু পানির জন্য এতো দাম নয়, বোতলের জন্যও এই ব্র্যান্ডের পানির দাম এতো চওড়া।
২০১০ সালে ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির বোতল হিসেবে গিনেস বুকের রেকর্ড খাতায় নাম লিখায়। বোতলের নকশা করেছিলেন ফার্নান্দো আলতামিরানো।
চামড়ার খাপে পোরা ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এই বোতল। ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’ ব্র্যান্ডের সবচেয়ে সস্তা বোতলের দাম ২৫ হাজার টাকা। যার দামও অনেক বেশি মধ্যবিত্তদের কাছে।
অর্থবিত্তে সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক ব্যবধান ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবারের সদস্যরা। ব্যক্তিগত জীবনেও সব ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকার চেষ্টা করে আম্বানি পরিবার।
এছাড়া ফ্যাশন ও খাবারেও থাকে অর্থবিত্তের ছাপ। তারা যে পানি পান করেন সেটিও সাধারণ পানির চেয়ে অনেক ব্যতিক্রম ও দামও আকাশ ছোঁয়া হবে তা ধারণা করাই যেতে পারে।