২৫ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে নতুন সুবিধা যুক্ত হয়েছে ম্যাসেজিং অ্যাপস হোয়াটসঅ্যাপে। ব্যবহারকারীদের এই সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেন হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান জুকারবার্গ।
এর আগে একই সময়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট শুধুমাত্র মোবাইল ও ডেস্কটপে লগইন করা যেত। এবার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে উঠে গেছে এই সীমাবদ্ধতা।
ফলে এখন থেকে একই একাউন্ট চারটি ফোনে লগইন করা যাবে। তাই একটি ডিভাইস বন্ধ থাকলেও অন্য ডিভাইসে অ্যাপটি অ্যাক্সেস করা যাবে।
বার্তা লেনদেনের পাশাপাশি অডিও, ভিডিও কলের সুযোগ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। প্রায় ২৪৪ কোটি গ্রাহক এ জন্যই এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
ফেসবুক পোস্টে ২৫ এপ্রিল জুকারবার্গ লিখেন, ‘আজ থেকে, একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে চারটি মোবাইলে।’
মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফোন নম্বরের মাধ্যমেই হোয়াটসঅ্যাপে পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তিরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই সুবিধা চালু হওয়ার পরে এই সুবিধা ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনা আছে কী না? এ নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ব্যবহারকারীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, এমন চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেন না প্রতিটি ডিভাইসেই চ্যাট, ছবি, ভিডিও ও অন্যান্য ফাইল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকবে।
ধরুন, যে স্মার্টফোনে সবার আগে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছিলেন সেটি যদি দীর্ঘদিন অচল থাকে সেক্ষেত্রে বাকি ডিভাইসগুলোতে নিজে থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ লগ-আউট হয়ে যাবে।
আবার একাধিক মোবাইলে একইসাথে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও কোন সময়ই অন্যটি থেকে সাইন আউট করার প্রয়োজন হবে না।
হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, এর ফলে ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। কর্মীরা একই নাম্বার ব্যবহার করে নিজেরাই ক্রেতাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
সম্প্রতি একাধিক নতুন ফিচারের কথা ঘোষণা করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করা স্ট্যাটাস ফেসবুক স্টোরিতেও দেওয়া যাবে। পাশাপাশি নিজের নাম্বারেও মেসেজ পাঠানো যাবে, যা এতোদিন ছিল না।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তি জায়ান্ট ইয়াহু এর সাবেক কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জ্যান কৌম ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন।
মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ ইনকর্পোরেটেড দ্বারা পরিষেবাটি তৈরি করা হয়েছিল, যা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয় আরক প্রযুক্তি জায়ান্ট ফেসবুক।
এটি ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হয়ে ওঠে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ছিল৷
২০১৬ সাল নাগাদ, এটি ল্যাটিন আমেরিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপের একটি বড় অংশ এবং আফ্রিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হয়ে ওঠে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে হোয়াটঅ্যাপ একটি স্বতন্ত্র ব্যবসায়িক অ্যাপ প্রকাশ করেছে যার নাম হোয়াটঅ্যাপ বিজনেস যা স্ট্যান্ডার্ড হোয়াটসঅ্যাপ ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।