লাখো ভক্তের সামনে গান গেয়ে ম্যাডোনার রেকর্ড। এক লাখ দুই লাখ নয় ১৬ লাখ অনুরাগীর সামনে গান গেয়ে ইতিহাস গড়েন ম্যাটেরিয়াল গার্লখ্যাত মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনা। ৪ মে রাতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্রতীরে নেমেছিল মানুষের ঢল। সেখানে তার জীবনে সবচেয়ে বেশি ভক্তের সামনে নিজস্ব ভঙ্গিমায় সংগীত পরিবেশন করে রেকর্ড গড়েন।
ম্যাডোনার আগমনের কথা শোনে অনেত কয়েক ঘণ্টা আগে, আবার কেউ কেউ কয়েকদিন আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। অনেক দৃষ্টিনন্দন প্রমোদতরীতে আবার অনেতে এপার্টমেন্টের ব্যালকনি থেকে উপভোগ করেছেন ম্যাডোনাকে।
এটা ছিল ম্যাডোনার সেলিব্রেশন ট্যুরের শেষ শো। এ রাতে তিনি তার হিট গান ‘লাইক এ প্রেয়ার, ভোগ, হ্যাং আপ, ইনটু দ্য গ্রুভ এবং লাইক এ ভার্জিন’ পরিবেশন করেন। দুই ঘণ্টার এই শো ছিল উন্মুক্ত। ফলে ব্রাজিলের এই শহরটি আনন্দে উন্মাতাল হয়ে উঠেছিল।
তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না:
হোটেলগুলোতে তিল ধারণের স্থান ছিল না। অতিরিক্ত ১৭০টি ফ্লাইট গেছে ওই শহরে। নির্ধারিত সময়ের ৫০ মিনিট পরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটের সময় কুইন অব পপ ম্যাডোনা যখন মঞ্চে ওঠেন তখন আকাশে চক্কর দিতে থাকে বেশ কিছু হেলিকপ্টার ও ড্রোন। পুরো সমুদ্রসৈকত বিচরণ করে তারা।
মঞ্চে উঠেই রিও ডি জেনিরোর পাহাড় এবং ক্রাইস্ট দ্য রিদিমার মূর্তির ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে এই স্থানটিই সবচেয়ে সুন্দর। তারপর ১৯৯৮ সালের অ্যালবাম ‘রে অব লাইট’ থেকে ‘নার্থি রিয়েলি ম্যাটারস’ দিয়ে গান শুরু করেন ৬৫ বছর বয়সী ম্যাডোনা।
ম্যাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় শো
পুরো সমুদ্রসৈকতে স্পিকার বসাতে স্থাপন করা হয় ১৮টি টাওয়ার, যাতে স্পিকার থেকে সবাই তার গান শুনতে পান। এই শোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ব্রাজিলের সংগীতশিল্পীদের এবং স্থানীয় সাম্বা স্কুলের লোকজনকে। তাদের অনেকেই ছিলেন ম্যাডোনা-থিমের পোশাক পরা।
এটাই ম্যাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় শো। ১৯৮৭ সালে প্যারিসে তিনি যখন শো করেছিলেন তখন সেখানে অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার অনুরাগী। কিন্তু ব্রাজিলের শোতে মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। ব্রাজিলের শ্রোতা ও আয়োজকরা ম্যাডোনার কনসার্ট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।