
হাই প্রেশার রোগীদের ১০ খাবার
নাতাশা নওশীন: হাই প্রেশার শরীরের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। হাই প্রেশার থাকলে ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকে বহুগুণ বেড়ে যায়। হাই প্রেশার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে খাদ্যাভ্যাস।
হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি খাবার গ্রহণের দিকেও নজর দিতে হবে। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।
সারাবিশ্বে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে সমস্যায় আক্রান্ত হয়।১৪০/৮০-এর উপরে প্রেশার হলেই সমস্যা ধরা হয় তবে তা ১৮০/৯০-এর উপরে চলে যায় তাহলে অনেক বেশি সমস্যা বলে ধরে নেন চিকিৎসকরা।
সাধারণত হাই প্রেশারের ক্ষেত্রে কোনও লক্ষণ তেমনভাবে দেখা দেয় না। তবে ’’স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক’র মতো রোগের ঝুঁকি এক্ষেত্রে অনেক বেড়ে যায়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল বা জীবনধারায় কয়েকটি পরিবর্তন আনতে হবে হাই প্রেশারের রোগিদের।
বেশি করে গাজর খান:
গাজরে বেশি পরিমাণে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ যেমন ক্লোরোজেনিক, পি কিউমেরিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড। এই যৌগ রক্তনালীকে রিল্যাক্স করার কারণে কমে প্রেশার। এমনকী গাজর কমাতে পারে প্রদাহজনিত সব ধরনের অসুখও।
খেতে হবে টক স্বাদযুক্ত ফল:
ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে টক স্বাদযুক্ত ফল খুবই উপকারী। সব ধরনের লেবু ও মাল্টার মতো টক জাতীয় ফল অনায়াসে খেতে পারেন। ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর এসব ফল হাই প্রেশার কমিয়ে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
এই ফল সাধারণ উপায়েই বেশি খাওয়া হয়। আবার কেউ কেউ সালাড হিসাবেও খায়। অনেকে আবার এসব ফলের জুস করেও খায়।
ধনে পাতায় কমবে চাপ:
ধনে পাতা খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য। এম নকী এই খাদ্যও পারে প্রেশার কমাতে। হাই প্রেশারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চাইলেই অনায়াসে খেতে পারেন ধনে পাতা।
চিয়া ও তিসি বীজ উপকারী:
চিয়া ও তিসির বীজ খুবই ছোট হলেও এই খাবারের পুষ্টিগুণ কিন্তু আদৌ ছোট না। এরমধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবারে মতো উপকারী উপাদান।
এসব উপাদান প্রেশার নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়া হাই প্রেশার রোগিরা চাইলে বিভিন্ন সবুজ শাক খেতে পারেন। এমনকী করতে পারেন এক্সারসাইজ। তবেই সমস্যা কমবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা ব্রকোলি:
ব্রকোলিতে রয়েছে ভালো পরিামাণে ফ্ল্যাভানয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান কমাতে পারে প্রেশার। এক্ষেত্রে রক্তনালী ও নাইট্রিক অক্সাইডের কার্যকারিতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এই কাজটি করা সম্ভব হয়।
ড্রাইফুট পেস্তা বাদাম:
পেস্তা হল একটি ড্রাইফুট। এই বাদাম কমাতে পারে হাই প্রেশার। এর মধ্যে হার্ট ভালো রাখার নানা উপাদান বিদ্যমান থাকে। হাই প্রেশার এ আক্রান্ত মানুষ যে কোনও উপায়ে খেতে পারেন পেস্তা বাদাম।
পুষ্টিগুণের কুমড়া বীজ:
কুমড়ার বীজ অনেক বাড়িতেই রান্না হয়। আসলে এই বীজে রয়েছে ভালো পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এক্ষেত্রে প্রেশার আক্রান্ত মানুষজন অবশ্যই খেতে পারেন এই বীজ। এর মাধ্যমে কমতে পারে প্রেশার।
প্রোটিনে ঠাসা বিনস ও ডাল:
প্রোটিন ও ফাইবারের অন্যতম উৎস হল বিনস ও ডাল। এর মধ্যে অন্যান্য পুষ্টিগুণও রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা হাই প্রেশারে আক্রান্তদের বিনস ও ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খুবই কম সময়ের মধ্যে কমে হাই প্রেশার।
ওমেগায় ভরা স্যালমন মাছ:
হাই প্রেশার কমাতে চাইলে স্যালমন ও ফ্যাটি ফিসের মতো মাছ খেতে হবে। এই মাছগুলোতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটা হার্টের জন্যও ভালো। তাই এবার থেকে খেতে শুরু করে দিতেই পারেন এই মাছ।
পটাশিয়ামের উৎস টমেটো:
টমেটোর মধ্যে ভালো পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন রয়েছে। লাইকোনপিন হার্টের জন্য খুবই ভালো। এক্ষেত্রে প্রেশার কমাতে চাইলেও হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে টমেটো।