বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই সামনে হাঁটেন। তবে সামনে হাঁটার পাশাপাশি পেছনে হাঁটতে পারলেও অনেক লাভ হয়। সে ক্ষেত্রে শরীরে ভালো থাকে। এমনকি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে। পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ মানুষ কসরত করেন না। ফলে হাঁটা হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প পথ। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যা কমাতে চাইলে অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এ সময়টুকু হাঁটতে পারলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
বেশির ভাগ মানুষ সামনের দিকে হাঁটি, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম তবে অনেকে পেছনের দিকেও হাঁটতে পারেন। এভাবে হাঁটার রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটতে পারেন। পেছন ফিরে হাঁটলে যেসব উপকার হয়-
পা শক্ত হয়:
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, পেছনের দিকে হাঁটতে পারলে পা শক্ত হয়। আসলে পেছনে হাঁটলে কাফ মাসলসহ শরীরের বিভিন্ন মাসল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে পায়ের ব্যথাও কমতে পারে।
ভারসাম্য ঠিক থাকে:
এটাও একটা বিষয়। অনেক সময় দেখা যায়, মানুষের ব্যালান্সের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। বিশেষত একটু বয়স বাড়লে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেছনে হাঁটলে এ ভারসাম্য রাখার কাজটা অনেক সহজ হবে।
ব্যথা কমায়:
দেখা গেছে, সামনে হাঁটার মতোই পেছনে হাঁটার ক্ষেত্রে পায়ের ব্যথা কমে। বিশেষত পেশির ব্যথা কমে এভাবে হাঁটার জন্য। এমনকি পা ফোলা কমতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান।
মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে:
আসলে মস্তিষ্ককে সচল রাখার কাজটা সহজ নয়। দেখা গেছে, যদি কেউ মস্তিষ্ক সহজে সচল রাখতে চায়, তবে পেছনে ফিরে হাঁটতে পারে। বিশেষত বেশি বয়সে এই কৌশল কাজে আসে। তবে প্রথমেই খুব বেশি চেষ্টা করবেন না। যতটুকু পারবেন, ততক্ষণই হাঁটুন।
পেছেনে হাটার অভ্যাস করলে উপরোক্ত শারীরিক উপকার ছাড়াও বিশেষ করে যারা মস্তিস্কের নানান জটিলটায় ভোগছেন তারা ধীরে ধীরে পেছনে হাটার অভ্যাস করতে পারেন।