
শত কোটি টাকার মানহানি মামলার আসামী শাহরুখ খান
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান কে ‘রইস বিতর্ক’ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। আব্দুল লতিফের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল সিনেমা রইস।
সিনেমাটিতে আব্দুল লতিফকে সঠিকভাবে চিত্রায়ন না করার অভিযোগে শাহরুখসহ প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি টাকা দাবি করে মানহানির মামলা করেছে লতিফের পরিবার।
কিং খান ও প্রযোজকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে গুজরাটের হাইকোর্ট।
এই সিনেমার প্রচারণার জন্য যখন আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন শাহরুখ খান, তখন সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সেই মৃত্যু ঘিরেও বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছিলেন শাহরুখ খান।
কিছুদিন আগেই সেই মামলা থেকে মুক্তি পান বলিউডের শক্তিমান এই অভিনেতা।
মানহানি মামলাতেও আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট ও এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট।

রইসের গল্প ছিল গ্যাংস্টার আবদুল লতিফের জীবনকে ঘিরে এমনটাই দাবি করা হয়েছে মামলার অভিযোগে।
মানহানি মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন শাহরুখ, প্রযোজক ফারহান আখতার ও পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া।
২৯ জুন বিচারক এই মামলা `আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন’।
যার খবরে বিনোদন জগতে আলোড়ন তৈরি হয়।
গ্যাংস্টার লতিফের ছেলে মোস্তাক আহমেদ এই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।
তবে মামলা চলাকালেই মৃত্যু হয় মোস্তাকের। এখন সেই মামলা লড়ছেন স্ত্রী ও দুই কন্যা।
এই সিনেমা তাদের পরিবারের জন্য খুবই সম্মানহানির বলে অভিযোগ করেন মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী ও কন্যা।
শাহরুখ খানের আইনজীবী শালিক থাকোরে বলেছেন, `ক্ষতিপূরণের মামলা কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর সাথেই শেষ হয়ে যায়’।
ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে দায়ের করা মামলায় মোস্তাক অভিযোগ করেছিলেন এই সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার সময় লতিফের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছিল প্রযোজনা সংস্থা।
তাহলে কেন এই মামলা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কিং খানের আইনজীবী।
শাহরুখ খানের জীবনটা ছিল কখনো মুক্ত পাখির মতো, আবার কখনো-বা চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। সেই জীবন থেকেই মহারাজা হয়ে আসেন পুরো ভারতবর্ষে।
কিং খান, কিংবা বাদশাহ হবেন এমন কল্পনায় একদিন বাস্তবে তার হাতের মুঠোয় ধরা দেবে তা হয়তো কখনোই ভাবনায় আসেনি শাহরুখ খানের। তবে ভাবনায় না থেকেও হয়েছেন বাদশাহ।

এতো এত আলো ঝলমলে বিলাসবহুল জীবনে অধিকারী তিনি। বলিউড ‘বাদশাহ’ যাপিত জীবনে তাই বাদশাহী ইমেজ নিয়ে চলাফেরা করেন এই রোমান্টিক হিরো।
ভারতীয় সেরা ধনকুবের তারকা বনেও যাওয়া হয় তার। বিলাসবহুল বাড়ি মান্নাত, কোটি কোটি টাকার সম্পদ তো আছেই।
তবে কোটি টাকা সত্ত্বেও মানহানি মামলা থেকে রক্ষা পাননি রইস সিনেমায় অভিনয় করে।
বলে রাখা ভালো, আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে অনেক মামলা ছিল।
খুন, অপরহণ, অবৈধ মাদক বিক্রয়সহ নানান অপরাধে এসব মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
কথিত আছে আব্দুল লতিফ দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
১৯৯৫ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিলেন লতিফ। এর দুই বছর পর কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন লতিফ।