
যদি দেখা হয় প্রিয়
যদি দেখা হয় প্রিয়
বছর কয়েক পরে যদি দেখা হয় প্রিয়,
চোখে এসে চোখ দুটি মেশে;
অনন্ত সেই ভূবন জুড়ানো হাসি
দিও তুমি আহ্লাদে ভালোবেসে।
বেলা-অবেলার আলো-আঁধারির একটু ছায়াতে,
কল্পনার রঙে রাঙানো আমার আকাশে,
অপ্রাপ্তিতেও ভালোবাসা রেখো
আবেগ জড়ানো পরশে।
যদি সত্যিই দেখা হয় প্রিয় –
তখন থাকবে না আর হারানোর ভয়,
বুকের মাঝে কোথায় যেন একটু খানি ব্যথা ;
চোখের কোনে জলের ঝিলিক –
মুখে লুকানো হাজারো কথা।
ভাবনার বসতি গড়েছি দুজনে
আশা-নিরাশার বাড়ি,
প্রেমের পূজার অর্ঘ্য সাজানো
আমার নৈবেদ্যের ডালি।
যদি কাছে না আসে প্রিয়
তবু তুমি কাছে টেনে নিও,
প্রজ্ঞার আলোকে এতদিনের চাওয়া-পাওয়ার,;
হিসাবটুকু মিলিয়ে দিও।
আমুল হৃদয়ে দিয়েছি তোমায়,
জীবনের প্রথম ফোটা আবেগ,
তবুও অপ্রাপ্তির নিরাশায় যদি কোনদিন –
ভুলে যাও তুমি!
অনেক দুরাশার মাঝেও
আমাদের ভালোবাসার স্মৃতিটুকু
মলিন করো না যেন!
ভালোবাসার আবেশে –
আবার এসো ফিরে,
“গীতবিতানের” পাতায় পাতায়
“সঞ্চয়িতার” টানে।
তবুও যদি কোনদিন দেখা হয় প্রিয় –
স্বাগত জানাব তোমায় –
আমার ভালোবাসার হৃদ কুঠিরে।।
কলমে: নিপুন দাস , শিক্ষিকা, কবি, লেখিকা, উপস্থাপিকা, আবৃত্তি ও চিত্র শিল্পী।