
মৌনতা
মৌনতা
রুদ্ধশ্বাসে স্মৃতির ধুলো
সেদিনের সেই অচেনা রাত,
দেয়াল ঘড়ি ও বুঝি কথা বলে?
হয়তো, রাত্রী জাগার অজুহাত!
কিছু শব্দ যেন- শুধু শব্দ নয়
এক একটি গল্প,
ছোট্ট কথার অজস্র ভান্ডার
অনুভূতির লুকানো স্তম্ভ।
শুধু সেদিনের রাতের স্তব্ধতা জানে
সকাল কতটা বন্য!
চিলেকোঠা আড়চোখে খোঁজে
রাতের স্নিগ্ধ লাবণ্য।
একটা চিঠি লিখেছিলাম,
খুচরো মনের অভিমানে!
হঠাৎ তার প্রতি উত্তর পেলাম
সকল জিজ্ঞাসাবাদের কারণ সরিয়ে।
হঠাৎ চেনা মুখ,
ঘিরে গেল অচেনার পরিবেশে
চেনা শোনা জানার মাঝে
হয়তো কিছুই হয়নি জানা-
অচেনায় নিজেকে হারিয়ে তাই
আবার খুঁজি ফিরে।
এইতো সেদিন, স্বল্ল কিছু সময়
তবুও তো রয়ে গেছে সেই তুমি
সমস্ত মন জুড়ে,
কি এক আশ্চর্য প্রেমময়তায়!
কি এক অপূর্ব মোহে
জড়িয়েছ প্রিয় আমায়?
তুমি চাইলেও পারিনা ভুলতে
উপলব্ধিগুলো কেবলই বিভীষিকাময়।
নেই সুর, নেই ছন্দ
মনের গহীন অন্তরালে
প্রতিটি কবিতা যেন হয়
আমার এক একটি দহন কাব্য।
হয়তো তুমি এমনি একদিন থাকবে না
অধিকার ও রাখবেনা,
ব্যস্ততার প্রাচীর রুদ্ধ করবে সেদিন
আমার সকল শ্রবণেন্দ্রিয়ের দ্বার।
কিছু মানুষের জীবনের সন্ধ্যা আসে
নির্জনতার বেশে,
কিছু মৌনতা সংজ্ঞাহীন
পুরাতন ব্যাথার তীব্র কোলাহলে।
ভালোবাসার সংখ্যাগুলো নিমিষেই হারায় –
বিষাদ মেঘের কালো চাদরে ,
তবু তো বেঁচে থাকে অনুভূতি,
মৌনতার শুভ্র পরশে।।
কলমে: নিপুন দাস, শিক্ষিকা, কবি, লেখিকা, উপস্থাপিকা ও আবৃত্তিশিল্পী!
কেন মৌন?
“কিছু মানুষের জীবনের সন্ধ্যা আসে
নির্জনতার বেশে,
কিছু মৌনতা সংজ্ঞাহীন
পুরাতন ব্যাথার তীব্র কোলাহলে।”