
বিয়ের আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন নারী
মরিয়ম জাহান:
বিয়ে সবার জীবনেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ একটি বন্ধন। এই একটি সিদ্ধান্তে একজন মানুষের জীবন বদলে যেতে পারে।
প্রত্যেক ছেলে ও মেয়ের জন্যই এই সম্পর্ক বিশেষ গুরত্ব বহন করে।
একদিকে এই সম্পর্কের মধ্যে প্রচুর ভালোবাসা থাকে, অন্যদিকে প্রেম-ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়েও সঙ্গীর মনে ভয় থাকে।
বিয়ের প্রথম দিকে সম্পর্ক অবশ্যই মধুর থাকে তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অন্যদিকে বাঁক নিতে শুরু করে।
দাম্পত্যে নানারকম সমস্যা আসতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পাত্র-পাত্রী একে অপরের সম্বন্ধে না জেনেই বিয়ের জন্য সম্মতি দিয়ে দেন।
অনেকেই কেবল তিন চারবার দেখা করেই বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দেন। তাঁরা তাঁদের সঙ্গীকে ঠিকঠাক করে চেনেনও না।
বিয়ের আগে সঙ্গীর নাম, তাঁর পছন্দ ও শুধু তাঁর আয় জানাই যথেষ্ট নয়।
সঙ্গী আদৌ মনের মতো হল কিনা তা জানা প্রয়োজন। তার জন্য সঙ্গীকে ভালোভাবে চেনা প্রয়োজন।
কারণ বিয়ের পর অনেক দায়িত্বই নিতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে।
তাই বিয়ের সম্মতি জানানোর আগে এই কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে নারীদের।
একে অপরকে বোঝা:
দোষ না থাকলে আমরা কাউকে সরি বলি না, এই কথা হয়তো ঠিক। তবে একটি সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য কখনও না কখনও সরি বলতেই হয়।
বিয়ের পর দাম্পত্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের উপর অনেক দায়িত্ব চলে আসে।
সম্পর্ক মধুর রাখার জন্য কোন দোষ ছাড়াই কখনও কখনও সরি বলা যেতে পারে।
আপনার সঙ্গীর এরকম গুন আছে কিনা তা বিয়ের আগে জানা একজন নারীর দায়িত্ব। তাকে জানার ও বুঝার চেষ্টা করুন।
সুখী হওয়ার জন্য বিয়ে করুন:
বিবাহিত জীবনে প্রতিটি মানুষেরই তাঁর সঙ্গীর থেকে কম বেশি প্রত্যাশা থাকে। সঙ্গীর বাহ্যিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে তাঁর আচরণসহ সব কিছুই লক্ষ রাখতে হয়।
সমাজে সবাই একটি ইমেজ নিয়ে চলার চেষ্টা করে তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার আচরণ আমাদের সামনে প্রকাশ পেতে থাকে।
আপনি বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির আসল ইমেজটি বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি আদৌ আপনার মনের মতো কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন।
তিনি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করে আপনাকে সুখী রাখতে পারবেন তো? বিবাহিত জীবন শুরু করার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন নারী।
কেরিয়ার নিয়ে ভাবনা জানান:
বিয়ের আগে ”আপনার কেরিয়ার” নিয়ে আপনার হবু স্বামীর সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করে নেবেন।
আপনি বিয়ের পর চাকরি করতে চান, সেই কথাও জানিয়ে দেবেন। সেই বিষয়ে হবু স্বামীর মতামত শুনে নিন।
তিনি যদি আপনার সঙ্গে সহমত হন, তবে আপনি ভরসা করে দেখতে পারেন।
অনেক পরিবারই মেয়েদের চাকরিকে সমর্থন করে না। তারা মেনে নিতে পারে না যে, মেয়েটি উপার্জন করবে।
তাই এরকম কোনও ইঙ্গিত পেলে সেই বিষয় নিয়ে আগেই আলোচনা করে নিন হবু জীবন সঙ্গীর সাথে তাতে জীবন সুন্দর হবে। ঝামেলামুক্ত থাকবে দাম্পত্য জীবন।
শিশুর জন্য সুপরিবেশ:
আপনার সন্তানের জন্য আদর্শ পরিবেশ দরকার। শিশু জন্মানোর আগে এই বিষয়টি অবশ্যই মায়ের মাথায় রাখা প্রয়োজন।
আপনার শিশুর জন্য বাড়িতে সঠিক পরিবেশ রয়েছে কিনা তা বিয়ের আগেই একবার দেখে নিলে ভালো হয়।
কারণ, শিশুমনে বাড়ির পরিবেশের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পরিবারের সংস্কৃতি-শিক্ষায় শিশুটি বড় হয় তবে বাড়িতে যদি সব সময় অশান্তি চলতে থাকে, একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে, তবে তা কখনোই শিশুর জন্য ভালো নয়। তাই বিয়ের আগে বিষয়টিও দেখে নিন নারী।