
বলিউডের প্লাস্টিক সুন্দরী কথন
প্লাস্টিক সুন্দরী। বলিউড নায়িকাদের সৌন্দর্য নিয়ে এই কথাটা খুব প্রচলিত। প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের মুখের নকশা বদলে ফেলেছেন বলিউডের একঝাঁক অভিনেত্রী।বলিউডের সেসব প্লাস্টিক রূপসীকে দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

শ্রীদেবী:
বলিউডের চিরকালীন সৌন্দর্য্যের মুখ শ্রীদেবী। কিন্তু তাঁর সুন্দর মুখমণ্ডল প্লাস্টিক সার্জারির দান। চেহারার আবেদন বাড়াতে তিনি প্লাস্টিক সার্জারির সহায়তা নিয়েছিলেন।
তবে এ বিষয়ে কখনো খোলামেলাভাবে কিছু বলেননি বলিউডের হার্টথ্রব এই নায়িকা। মৃত্যুর পরেও দর্শকদের কাছে সমান জনপ্রিয় শ্রীদেবী।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন:
নিখুঁত সুন্দরী হিসেবেই যার পরিচয়। পুরো বিশ্ব মুগ্ধ ঐশ্বরিয়ার রূপে। কত কত রূপসীকে পেছনে ফেলে তাঁর মাথায় উঠেছিল বিশ্বসুন্দরীর মুকুট।
তবে বলিউডে পা রাখার পর নিজের রূপ নিয়ে আরও সচেতন হয়ে ওঠেন বলিউডের এই হার্টথ্রোব নায়িকা।
পর্দায় নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিউটি সার্জারি করান তিনি। তবে এই প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্বীকার করেননি তিনি।

ক্যাটরিনা কাইফ:
বলিউডে আসার পরই ক্যাটরিনা তাঁর অপার সৌন্দর্যে সবাইকে আবিষ্ট করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেকে আরও সুন্দর করে তোলার খেলায় মেতে ওঠেন।
ক্যাটরিনার প্লাস্টিক সার্জারির খবর নিয়ে বলিউড একসময় মুখর ছিল। তিনি ঠোঁট ও নাকে কাজ করিয়েছেন। তবে কখনোই সেটা স্বীকার করেননি।

শিল্পা শেঠি:
বলিউডে পা রাখার পর নিজের নাক নিয়ে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল শিল্পা শেঠিকে। তবে ৪৫ বছর বয়সী এই নায়িকার সৌন্দর্যে আজও কুপোকাত অনেকে।
বয়স যেন তাঁর কাছে আজও অধরা। আর শিল্পার এই সৌন্দর্যের পেছনে রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির কারিকুরি।
এই নায়িকাও নিজের ভোল বদলে ফেলতে সার্জারির সাহায্য নিয়েছিলেন। শিল্পা নিজের নাককে চোখা করতে দু-দুবার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া:
ঐশ্বরিয়ার মতো প্রিয়াঙ্কাও বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করেছিলেন। তবে তার সুন্দর নাক, ঠোঁট সব কিছুই প্লাস্টিক সার্জারির দান।
নাক ও ঠোঁট ছাড়া আরও কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট করিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এই বলিউড অভিনেত্রী তাঁর সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘আনফিনিশড’–এ এই বিষয়ে অনেক তথ্য জানিয়েছেন।
নাকের একটা সমস্যা নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। ডাক্তারের ভুলে তাঁর নাকের ব্রিজ নষ্ট হয়ে যায়। ব্যান্ডেজ খোলার পর প্রিয়াঙ্কা নিজেকে আয়নায় দেখে চিনতে পারেননি।
কিছুক্ষণ বাক্রুদ্ধ ছিলেন । কারণ, তাঁর মুখের আদল অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। আর সেটা ঠিক করাতে প্রিয়াঙ্কাকে একাধিক সার্জারি করাতে হয়েছিল। এ কারণে তাঁকে প্লাস্টিক চোপড়া বলেও ডাকা হতো।

আনুশকা শর্মা:
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির স্ত্রী ও বলিউড তারকা আনুশকা শর্মার রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির রেকর্ড। এ কারণে তাঁকেও একসময় ট্রলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল।
শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় অভিষেক হয় আনুশকার। তখন তিনি দেখতে ছিলেন একরকম।
করণ জোহরের চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’–এ একদম অন্য রূপে ধরা দেন আনুশকা। এমনকি ভালোভাবে হাসতে পর্যন্ত পারছিলেন না তিনি।
তাঁর ঠোঁটের আকার অস্বাভাবিক পুরু দেখাচ্ছিল। তাই আনুশকার মুখের আদলও অনেকটা বদলে যায়।
এরপর থেকে ট্রলিংয়ের শিকার হন তিনি। আনুশকার ঠোঁটের আকারের কারণে অনেকে তাকে ‘ডোনাল্ড ডাক’ বলে ডাকতে শুরু করে।

আয়েশা টাকিয়া:
‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে সালমান খানের নায়িকা হিসেবে নজর কেড়েছিলেন আয়েশা। নাগেশ কুকুনুরের ‘ডোর’ ছবিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি।
অনেকের মতে, লম্বা রেসের ঘোড়া ছিলেন আয়েশা। কিন্তু সার্জারির পর রাতারাতি সেই দৌড় থেকে ছিটকে যান ।
প্রথমে আয়েশা ‘ব্রেস্ট সার্জারি’ করিয়েছিলেন। কিন্তু মুখের সার্জারির পর তাঁর চেহারাই বদলে যায়। এরপর পর্দায় আর জাদু দেখাতে পারেননি তিনি।

নার্গিস ফাখরি:
বলিউডে পা রাখার আগে মার্কিন মুলুকের প্রথম সারির মডেল হিসেবে কাজ করতেন নার্গিস। অভিনয় জগতে আসার কিছুদিন পর প্লাস্টিক সার্জারি করান তিনি।
ঠোঁট আর নাকের সার্জারি করিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর নার্গিস আরও সুন্দর হয়ে ওঠেন।

কঙ্গনা রনৌত:
তাঁর নজরকাড়া সৌন্দর্যের পেছনে আছে সার্জারির অবদান। কঙ্গনা প্রথমে ‘লিপ সার্জারি’ করিয়েছিলেন।
এরপর এই বলিউড অভিনেত্রী ‘ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট’ করিয়েছেন। এমনকি শোনা যায়, চোখের পাতার সার্জারিও করিয়েছিলেন তিনি।

বাণী কাপুর:
‘বেফিকর’ ছবিতে বাণী কাপুরের নতুন চেহারা ধরা পড়ে। সার্জারির পর তাঁর এই নব রূপ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
বাণী ঠোঁট আর গালের সার্জারি করিয়েছিলেন, যদিও অন্য সকলের মতো তিনিও এই সার্জারির কথা স্বীকার করেননি।
বলিউডের এসব হার্ট থ্রব চিত্রনায়িকারা রূপের সৌন্দর্য দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
সার্জারির পরে তাদের সৌন্দর্য অনেকেই বিমোহিত হয়েছেন। প্লাস্টিক সার্জারি ভারতীয় চলচ্চিত্রাঙ্গনকে আরো আকর্ষণীয় করেছে নিঃসন্দেহে।