হাজার বছরের গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য নাগরদোলা লোকজ মেলার পাশাপাশি এখন বিভিন্ন পার্কেও দেখা যায়। একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে আরোহীরা নাগরদোলায় চড়ে।
বর্তমানে এসব হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির জীবন থেকে। দেশীয় নাগরদোলা দিন দিন কমে গেলেও বর্তমানে বিভিন্ন দেশের পার্ক ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে আধুনিক নাগরদোলা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নাগরদোলাগুলো হাতে চালিত হলেও আধুনিক নাগরদোলাগুলো যান্ত্রিক, কারেন্টে চলে এবং উচ্চতায় অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে।
বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম নাগরদোলা হচ্ছে দুবাইয়ের ‘দুবাই আই’, যার অর্থ ‘দুবাইয়ের চোখ’২৫০ মিটার উঁচু এই নাগরদোলার নাম দুবাই আই। এখানে উঠে একসঙ্গে ১৮০০ পর্যটক দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
দুই বছর আগে দুবাইয়ে তৈরি করা হয়েছিল আকাশচুম্বী এক নাগরদোলা। তখন ঘোষণা করা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাগরদোলা।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে শুরুর কয়েক মাস পরই হঠাৎ করে আসে বন্ধ হওয়ার ঘোষণা। তখন থেকেই বন্ধ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের এই জায়গা।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং লম্বা ফেরি’স হুইল বা নাগরদোলা এটি। লাস ভেগাসের হাই রোলার, শিকাগোর নেভি পিয়ের, লন্ডনের লন্ডন আই বা কানাডার নায়াগ্রা স্কাই হুইলের চেয়েও উঁচু এই ‘দুবাই আই’।
২৫০ মিটার উঁচু নাগরদোলা। যেখানে উঠে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ পর্যটক দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
শুরুর সময় এটি ছিল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। কিন্তু এখন এটি অচল। এর পেছনে কোনও কারণও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র এর সাথে যুক্ত লাইটগুলো জ্বলে এখন।
তাদের ওয়েবসাইটে লেখা, ‘আইন দুবাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। আমরা আটকে থাকা কাজগুলো শেষ করতে চাই।’ কিন্তু সেসময় মাত্র একমাস বন্ধ থাকার কথা চিল নাগরদোলাটি। কিন্তু কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও তা ঘুরছে না।
আশপাশে গড়ে উঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। সেখানকার রেস্টুরেন্ট, দোকান মালিকরা যে আশায় ব্যবসা শুরু করেছিলেন তা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে।
নিকটবর্তী এক দোকান মালিক জানান, ‘গত বছর আমাদের বলা হয়েছিল শীত আসলেই এটা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আরেকটি শীত চলে আসছে, এখনও খোলার কোনও নাম নেই। আমরা নিশ্চিত না আদৌ এটি খুলবে কি না।‘
নাগরদোলাটি মেট্রোপলিটন স্কাইলাইনের মূল অংশ। আরও বেশি পরিমাণে পর্যটক আকৃষ্ট করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুবাই আই’তে মোট ৪৮টি বদ্ধ কেবিন রয়েছে।
এক-একটি কেবিন দুটি ডাবল-ডেকার বাসের চেয়েও বড় এবং ৪০ জনের বেশি পর্যটক উঠতে পারবেন। ফলে এই নাগরদোলা থেকে একসঙ্গে প্রায় ১,৮০০ মানুষ সম্পূর্ণ দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।