প্রতিবন্ধীদের হাটার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার

প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন তাদের বাবা-মা ও স্বজনরা। এবার প্রতিবন্ধী ও অচল ব্যক্তিদের হাঁটার পথ খুঁজছেন চিকিৎসা গবেষকরা।

প্রতিবন্ধীদের হাটার জন্য যুগান্তকারী এক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের একদল গবেষক। তাদের দাবি, মানবদেহে নতুন করে স্পাইনাল কর্ড প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে আজীবনের জন্য হুইলচেয়ারে বসে পড়া মানুষেরাও পুনরায় হাঁটতে পারবেন।

অধিকাংশ মানুষই হাঁটা নিয়ে ভাবে না। মস্তিষ্ক আমাদের হয়ে সে কাজ করে দেয়। শরীরের স্নায়ু কোষের এক প্রধান চ্যানেলের নাম ‘স্পাইনাল কর্ড, যার মধ্য দিয়ে পায়ের মাংসপেশিতে সঙ্কেত পাঠিয়ে দেয়ার ফলে আমরা হাঁটতে পারি।

তবে স্পাইনাল কর্ডে বড় ধরনের ইনজুরি হলে এ যোগাযোগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন এই চ্যানেল বরাবর নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে অস্বাভাবিক ভাবে শক্তি কমে গিয়ে শরীরের নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। আর এ ধরনের রোগীদের জন্যই নতুন এ আবিষ্কারটি।

ইসরায়েলের তেল আবিব ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগের প্রধান গবেষক তাল দিভির বলেন, যে ব্যক্তির স্পাইনাল কর্ড তৈরি করা হবে, তাঁর পেটের চর্বি থেকে কোষ নেওয়া হবে। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে এই কোষ পরিবর্তন করা হবে।

এ পদ্ধতিতে পেটের ওই কোষকে শরীরের যেকোনো ধরনের কোষে পরিবর্তিত করা সম্ভব হবে, যেখানে পরিবর্তিত কোষ থেকে স্পাইনাল কর্ড তৈরি করা হবে।

এ চিকিৎসাপদ্ধতি ইতিমধ্যে ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ৮০ শতাংশ সফলতা এসেছে। শীঘ্রই মানুষের উপরও এটি প্রয়োগ করা হবে। সফলতা পেলে চিকিৎসা পদ্ধতিটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান ওই গবেষক।

এই চিকিৎসা পদ্ধতি উন্মুক্ত করা হলে প্রতিবন্ধী মানুষদের হাঁটার পথ সুগম হবে একই সাথে তাদের স্বজনদের অনেকটা স্বাচ্ছন্দ অনুভূত হবে। সিরাজুম মারফি: