প্রযুক্তি কল্যাণে প্রতিনিয়ত সহজ হচ্ছে বিশ্ববাসীর জীবন-জীবিকা। প্রযুক্তির এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার মোবাইল ফোন। এটি জীবনকে গতিশীল করেছে।
জীবনযাপনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে এই মোবাইল ফোন।
এছাড়া অন্যান্য জরুরি কাজ ও বিনোদনের বিষয়টি তো আছেই। এর বাইরে চাকরীর ক্ষেত্রের মোবাইল ফোনের জুড়ি মেলা ভার।
জীবনযাপনের অংশ হওয়াতে চাইলেও মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয় বর্তমান বিশ্বাবাসী। ঘুমের সময় বালিশের পাশেই, বাইরে বের হলে ব্যাগে কিংবা পকেটে রাখা হয়।
বিশেষ করে ছেলে-মেয়েসহ সব শ্রেণির মানুষই শার্টের বুক পকেটে বা প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন। কিন্তু এর ফলেই শরীরে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা।
মোবাইল পকেটে রাখা নিয়ে ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে কানেক্টেড মোবাইল বুক পকেটে রাখলে শরীরে বেশি রেডিয়েশন প্রবেশ করে।
ব্যাগে মোবাইল রাখার অভ্যাস করলে রেডিয়েশনের পরিমাণ অন্তত দুই থেকে সাত শতাংশ কম হয়।
সেলফোন থেকে প্রাপ্ত রেডিয়েশন আর টিউমার গ্রোথের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
এমন রেডিয়েশনের কারণে বদলাতে পারে শরীরের ডিএন ‘র গঠন, আসতে পারে বন্ধ্যাত্ব ও হৃদয়ঘটিত নানান সংকট।
প্যান্টের পকেটে ফোন রাখার অভ্যাস থাকার কারণে পেলভিক বোনের গঠনে সমস্যা আসতে পারে, কমতে পারে হাড়ের ঘনত্ব।
পকেটে ফোন রাখার কারণে পিঠের দিকে রেডিয়েশন যাওয়ায় পিঠে ব্যথা হতে পারে। পেছনের পকেটে মোবাইল ফোন রাখলেও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
তাই সেলফোন নিরাপদ দূরত্বে রেখে, সুস্থ থাকার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের কারণে যাতে শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই।