
অগ্রযাত্রার নতুন পালক তৃতীয় টার্মিনাল
ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলছে।
আগের দুই টার্মিনালের চেয়ে চার গুণ বড় এই টার্মিনাল বছরে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী ধারণে সক্ষম।
বর্তমান দুই টার্মিনালের যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি।
৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি বিমান পার্ক করা জায়গা বা এপ্রোন নির্মাণ করা হচ্ছে।
টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের। ভবনের ভেতরে থাকবে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
নির্মাণাধীন টার্মিনালটিতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের ভেতরে হাঁটতে পারবেন না তাদের জন্যই উন্নত মানের এই এসকেলেটর লাগানো হচ্ছে।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল’র সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।
টার্মিনালটির প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে একটি করে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। এ লাউঞ্জের ভেতর মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং বুথ, একটি বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে।
এ ছাড়া শিশুদের খেলার জন্য স্লিপার-দোলনাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে। হেলথ ইনস্পেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, নানা রোগের টেস্টিং সেন্টার ও আইসোলেশন এরিয়াও থাকবে।
স্থাপত্য শৈলীতে অনন্য থার্ড টার্মিনালে বদলে যাবে দেশের এভিয়েশন খাত। আগামী বছর অক্টোবরে এটি উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক যোগ হবে।
বিশ্বের উন্নত মানের সুযোগ সুবিধা থাকবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে ফ্লেভার পাওয়া যাবে উন্নত প্রযুক্তির।