
বছর ঘুরে গেল জিয়ারকান্দি সমাজ কল্যাণ সংঘ’র
দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেছে প্রাণের সংগঠন জিয়ারকান্দি সমাজকল্যাণ সংঘ’র। বলে রাখা ভালো এটি কুমিল্লা জেলার
তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের একটি সমাজকল্যাণ সংগঠন।
প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি সংগঠনের সহকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে। সবাই খুবই প্রাণবন্দভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শামিল হয়।
১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে তিতাস উপজেলার গোমতী নদীর কোলঘেষে যাওয়া সেতু সংলগ্ন সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করি।
অনুষ্ঠানে কুরআন তেলওয়াত ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলা মুহাম্মদ হোসাইন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা, কবি ও কলামিস্ট মোহাম্মদ আলী আশরাফ খান।

সংঘের সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা রমজান সরকার, এখলাছুর রহমান মুন্সি, রাসেল মুন্সী ও প্রবাসী শাখার উপদেষ্টা মোঃ আলাউদ্দিন সরকার।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই কুমিল্লা জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক তৈয়ব আলীও বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
প্রথম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকীর উৎসবমুখর অনুষ্ঠানপির সভাপতিত্ব করি আমি (ফাহিম সরকার)। বলে রাখা ভালো, সংঘের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
এসময় অন্যানাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবী সজিব সরকার বাবু, মোহাম্মদ আল আমিন, সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি রূপক সরকার।

সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শরিফ সরকারসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দও প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা জিয়ারকান্দি সমাজকল্যাণ সংঘ’র বিগত এক বছরের নান্দনিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে সিলেটে ৬ শতাধিক বানভাসি পরিবারের জন্য মানবিক ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায় আলোচনায়।
উল্লেখ করতে হয় আগের কথা। স্মরণকালেল সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পুণ্যভূমি খ্যাত সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখ লাখ মানুষ।

পানিবন্দী এসব মানুষের মধ্যে খাবার আর সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন অবস্থায় বন্যার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে জিয়ারকান্দি সমাজকল্যাণ সংঘ। এর সাথে তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলার তিনটি সামাজিক সংগঠন একত্মতা ঘোষণা করে।
এই চার সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানীয়, ওষুধ ও নারীদের শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে অসহায়দের মাঝে।

২৪ জুন সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার বন্যাদুর্গত এক হাজারের বেশি পরিবারকে মুড়ি, চিড়া, গুড়, খেজুর দেয়া হয়।
এর সাথে ড্রাইকেক, বিশুদ্ধ পানীয়, ওরস্যালাইন, প্যারাসিটামল ঔষধসহ ৪ শতাধিক শাড়ী কাপড়ও বিতরণ করা হয়, যা অর্থের মূল্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
আগামীতেও যাতে সমাজের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে পারে প্রাণপ্রিয় এই সংগঠনটি সেই কামনা করছি।
যুগ থেকে যুগান্তরে এই সংগঠনের কাজ চলতে থাকুক সেই কামনা করছি। সংগঠনকে এগিয়ে নিতে যারা সহযোগিতা করছেন সবাই ধন্যবাদ।
কলমে: ফাহিম সরকার, তরুণ উদ্যোক্তা ও স্বত্বাধিকারী সরকার ইলেকট্রিক ও তাকওয়া অটো মোবাইলস, গৌরিপুর বাজার, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।