
কখনো জানতে চাওয়া হয় না
সোহাগ রেজা:
জীবন-কর্মের ব্যস্ততায়
মায়ের জীবনের দীর্ঘ সময়
কেটে গেল বন্দিশালায়
এখনও তাই!
জীবনের-যাপনের পরিবর্তন
আসেনি তেমন!
আমি বুঝি!
আমার মা মনে-মনে
খোলামনে একটু ঘুরতে চায়
মাঝে-মাঝে ভীষণ
বেড়াতে যেতে চায়
আমি তা ভীষণভাবে বুঝি ;
কিন্তু…. !!
আমরা মায়ের সন্তানেরা
এতোটা বুঝেও-
কেন যেন বাবা-মায়ের জন্যে
সময় হয়ে উঠে না
কখনো জানতে চাওয়া হয় না
তাঁদের সেই ছোট্ট চাওয়াটুকু
মাঝে-মাঝে ভীষণ মনে হয়
মা-বাবাসহ অন্য সকল
আপনজনকে সঙ্গে নিয়ে
ঘুরে আসি দেশ-বিদেশে
চেনা জগতের খুব অজানায়।
আমার মা-
তাঁর বাবা-মায়ের ভীষণ আদরে
শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষ!
তবুও মা তার ভাগ্যকে মেনে-নিয়ে
গ্রাম্য পরিবেশের সাথে
বেশ কয়েক যুগ পাড় করে দিলেন !
সময় পরিবর্তন করে দেয় সবই !
সবারই বয়স বাড়ে –
আমাদেরও বয়স বেড়েছে বেশ!
আমরা তাঁদের ফেলে আসা
পুরোনো সেই সুন্দর দিনগুলো
আনমনে খুঁজে যাই !
সময়ের ব্যবধানে
কেউ-হয়েছেন বাবা-মা
কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ী
কেউবা হয়েছেন দাদা-দাদী
কিংবা নানা-নানী
বয়স কিন্তু থাকেনি থেমে-
কিংবা মধুর সময়!
সবই-তো হয়েছে অতীত-
সাথে মায়ের স্বপ্ন-
কিংবা ছোট্ট আশা!
তাঁর বুকে যতই আসুক আঘাত-
সযতনে দিয়ে যায় যে
স্নেহ-ভালবাসা!!
বাবা-মা তো দিয়েছেন ঢের
আমরা পারিনি কিছু
সুখগুলো তাই যাচ্ছে ছেড়ে
কষ্ট নিয়েছে পিছু!
মায়ের সব কষ্ট-ব্যাথা
সে চাপিয়ে রাখেন মনে
তবুও থাকেন হাসি-খুশি
প্রায় সর্বক্ষণে !!
লেখক: টিভি ও বেতার সংবাদ উপস্থাপক, গীতিকার বিটিভি ও বেতার, কবি, আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যকর্মী ও বেতার ঘোষক