
এবার হাতিরঝিলে বসছে ক্যাবল কার
- হাতিরঝিলে বসছে ক্যাবল কার
- আরো আকর্ষণীয় হচ্ছে হাতিরঝিল
- নিরসন হবে যানজট
- স্বস্তি পাবে রাজধানীবাসী
- ভাড়া হবে কম
- পরিবেশ নষ্ট হবে না
নগর পরিবহন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর হাতিরঝিলকে আরো আকর্ষণীয় করতে এবার বসছে ক্যাবল কার।
প্রতিদিন লক্ষাধিক অফিসগামী লোকের চাপে সবসময় যানজট লেগেই থাকে হাতিরঝিল এলাকায় । ক্যাবল কারে যাত্রার মাধ্যমে এ যানজট কিছুটা নিরসন হবে।
যাওয়া-আসা মিলে এ ক্যাবল কার লাইনের প্রস্থ হবে ৮ কিলোমিটার। মোট ২০টি টাওয়ার স্থাপন করে ক্যাবল কারগুলো লাইনে তোলা হবে।

যাত্রীদের জন্য মোট পাঁচটি ল্যান্ডিং স্টেশন থাকবে। যাত্রীরা নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে যে কোনো স্টেশনে নামতে পারবেন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ক্যাবল কারের যে ভাড়া দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় হাতিরঝিলে ভাড়া কম হবে।
ক্যাবল কারগুলো তৈরি করবে অস্ট্রিয়ান কোম্পানি ডব্লিউ মায়া। অপারেশনের দায়িত্বে থাকবে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি আউটডোর। এদের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশের কোম্পানি টেলিটেল।
ক্যাবল কার হাতিরঝিলের পরিবেশ বিনষ্ট করবে না। কারণ কারগুলো বৈদ্যুতিক লাইন দিয়ে চলবে। এখানে কোনো তেল পোড়ানো হবে না।
এছাড়া ক্যাবল কারের জন্য যে টাওয়ারগুলো বসানো হবে সেগুলোর কোনোটাই হাতিরঝিলের পানির ওপর পড়বে না। তাই পরিবেশ বিনষ্ট হবে না।
দেশের নগর পরিবহন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে ক্যাবল কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নিত্য যানজটের এই শহরে নাগরিকদের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করবে এ প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রকল্প থেকে যে অর্থ আসবে তার একটি অংশ হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ পাবে। তা দিয়ে এই লেকের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সহজ হবে।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো যৌথভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নীলগিরি এবং টেকনাফের নাফ নদীর ওপর ক্যাবল কার নির্মাণ করছে।

ক্যাবল কার সংযোজনের ক্ষেত্রে বেশ সুনাম রয়েছে অস্ট্রীয় ও সুইস কোম্পানি দুটির। হিমালয়ের দেশ নেপাল, সাদা হাতির দেশ থাইল্যান্ড, বাণিজ্যিক হাব সিংগাপুরসহ বিশ্বের নানান দেশে ডব্লিউ মায়া ও আউটডোর কোম্পানি ক্যাবল কার স্থাপন করেছে।
সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার দুটি কোম্পানি বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এ কাজ শুরু করেছে।
প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০টি ক্যাবল কোচ স্থাপনের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে দুটি কনসোর্টিয়াম। তাদের নিজস্ব অর্থায়নেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
এই ক্যাবল কার হাতিরঝিলে পর্যটন সুবিধা আনার পাশাপাশি নাগরিকদের কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
এর আগে হাতিরঝিলে যাত্রীবাহী টুরিস্ট বাস রয়েছে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য আছে ওয়াটার ট্যাক্সি। তথ্য সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন